সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে কি ওনারা নাখোশ?
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

‘চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে নাখোশ? নির্বাচনী কোনো কিছুতে ওনাদের দেখতে পাচ্ছি না। এমনকি দল মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়ও ওনাদেরকে কোনো প্রার্থীর সাথে দেখা যায় নি।’ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এমন প্রশ্ন রাখেন একে অপরের প্রতি। তারা হতাশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল গতকাল ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার। এদিন চাঁদপুরসহ সারাদেশে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরাও গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে এর আগেরদিন বুধবারও কেউ কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল দেখা গেলো-চাঁদপুর-৩ আসনসহ জেলার পাঁচটি আসনের একটিতেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালকে দেখা যায় নি। জেলার পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে কোনো বিবৃতিও তাঁরা দেন নি। প্রার্থীরা দলের মনোনয়নের চিঠি নিয়ে এলাকায় আসলে তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী মিছিল করলেও সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ তাঁদের অনুসারী কয়েকজনকে কোনো কিছুতেই দেখা যায় নি। অথচ তাঁরা নিজেরা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে খুব সরব ছিলেন এবং ঢাকায় দলের মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার সময় তাঁদের সমর্থকদের জড়ো করেছিলেন। তখন তাঁরা বিভিন্ন মিডিয়াকে বলেছিলেন--শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন, যাকে মনোনয়ন দিবেন তাকেই আমরা মেনে নিবো এবং তার পক্ষে আমরা কাজ করবো। এই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীও রয়েছেন। নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন--এখন সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোথায়? তাঁরা কি তাহলে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মানতে পারছেন না? শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে কি তাহলে তারা নাখোশ? নেতা-কর্মীরা বেশি হতবাক হয়েছেন, হতাশ হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দলীয় প্রার্থীদের সাথে না দেখে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়