প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
গত রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জের একাধিক কলেজের ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। উপজেলার ৯ টি কলেজের মধ্যে ২/১টি ছাড়া আশানুরূপ ফলাফলে চমক দেখাতে পারেনি কলেজগুলো। এ নিয়ে অভিভাবক আর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার মান নিয়ে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলিত বছর প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার পাসের হার ৭৮। উপজেলার ৯টি কলেজ থেকে ২ হাজার ৮শ’ ৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২ হাজার ২শ’ ৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯ জন। ৫টি কলেজ থেকে কোনো জিপিএ আসেনি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে দেয়া প্রাপ্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে জানা যায়, উপজেলার মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ আর হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশনের ফলাফলে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ দুটি কলেজের মোট পাসের হার ৫০-এর নিচে। বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ থেকে ১শ’ ১৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২১ জন। মোট ফেল করেছে ৯৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পায়নি কেউ। এ- পেয়েছে ২ জন, বি পেয়েছে ৯ জন, সি পেয়েছে ১০ জন, মোট পাসের হার ২৪।
হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন থেকে ২৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪ জন, মোট ফেল করেছে ২৪ জন। জিপিএ-৫ পায়নি কেউ, এ- পেয়েছে ৩ জন, বি পেয়েছে ১ জন, মোট পাসের হার ১৪।
হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১শ’ ৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৮ জন। মোট ফেল করেছে ১শ’ ১৪ জন। জিপিএ ৫ পায়নি কেউ, এ পেয়েছে ৪ জন, এ- পেয়েছে ৯ জন, বি পেয়েছে ৭ জন, সি পেয়েছে ৮ জন, মোট পাসের হার ২০।
এ দিকে ফলাফল ঘোষণার দিন শেষে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ, হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন ও হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। অভিভাবকগণ বলেন, আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম, এই দুই বছর ধরে আমাদের বাচ্চাদের পড়িয়ে গড়ে ফেল করিয়ে আমাদেরকে শেষ করে দিয়েছে। কলেজগুলোকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে অনেক অনেক বেশি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন এই সকল অভিভাবক।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের এই ফলাফল আমাদের জন্যে কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বসে জানার চেষ্টা করবো সমস্যা কোথায়।