মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মুক্তিযুদ্ধে ফরিদগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য : -আবুল খায়ের পাটওয়ারী
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

২৫ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার সপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারস্থ ‘৭১ শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ।

পরে পৌরসভা মাঠে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মহসিন পাঠান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহাদাত হোসেন সাবু পাটওয়ারী, সহকারী কমান্ডার ইয়াকুব আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, আবুল বাশার পাটওয়ারী ও পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুস সামাদ।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফরিদগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অস্বীকার্য। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার কারণে জেলার সর্বপ্রথম উপজেলা হিসেবে পাকহানাদার মুক্ত হয়েছে। ফরিদগঞ্জের ভাটিরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম এবং পাইকপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বিতীয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হয়। আমি একদিকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছি। অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা পার করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা সময়ে অনেক কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে। এগুলো আর করতে দেয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে দিতে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের এক ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।

অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মহসিন পাঠান বলেন, ফরিদগঞ্জ পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর মুক্তিযুদ্ধ এবং আওয়ামী লীগের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আগামী দিনে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবো, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সক্ষম হবো। সামনে আমাদের জাতির জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে, সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঠে থাকতে হবে। একই সাথে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যেভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করেছেন, সেই সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আবারো আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসাতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হয় ফরিদগঞ্জ। এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও নিরস্ত্র জনতার প্রতিরোধের মুখে ফরিদগঞ্জ ছেড়ে চাঁদপুরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে তারা যাওয়ার পথে উপজেলার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পড়ে। সেখান থেকে চাঁদপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনী সাধারণ মানুষের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটে। এ সময় পাকবাহিনীর গুলিতে কয়েকজন মানুষ শহিদ হন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়