প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগের আগেই ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার ৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষার কথা রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম রফিক ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর সভাপতি পদ আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। গত ২০ জুলাই ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই ৫টি পদে স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে পূর্ব থেকেই নিয়োগের জন্যে প্রার্থী ঠিক করে রেখেছেন।
অফিস সহকারী পদপ্রার্থী ফয়েজ আহমেদ, নৈশপ্রহরী পদপ্রার্থী মাইন উদ্দিন ও আয়া পদপ্রার্থী ঝর্না আক্তার জানান, আমাদের কাছ থেকে লোকমারফত অফিস সহকারী পদের জন্যে ৫ লাখ, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদের জন্যে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অন্য পছন্দের প্রার্থী ঠিক করে রেখেছেন বলে জানিয়ে দেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সভাপতি নিজের পছন্দের লোক দিয়ে নিয়োগ কমিটি গঠন করেন। বিতর্কিত নিয়োগ কমিটি গঠন করার পর এলাকার সচেতন মহল, বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্ক্ষীরা নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের জন্যে সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে বারবার অনুরোধ করেন। সকলের মতামত উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতায় ২৪ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেন। এই নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্য, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম জেলা প্রশাসক বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগেই মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ নাছির উদ্দিন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগবাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিতাদেশ চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, নিয়োগের বিষয়টি সভাপতির এখতিয়ার। আপনারা সভাপতির সাথে কথা বলেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্যে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদুল হাসানকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী আশ্রাফ খানকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্যে নির্দেশ দিয়েছি।