প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ তথা কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন ৮ জন। এদের মধ্যে ১ জনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে। এদিকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রাত্যাশী ও তাদের অনুসারীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। জোর তদবির চালাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন পেতে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কচুয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ফলে সমগ্র কচুয়ার জনগণের কাছে তিনি ‘আধুনিক কচুয়ার রূপকার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি কচুয়ায় একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করে পৌরবাসীর জন্যে গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কচুয়ার ২শ’ ৪৩টি গ্রামের আনাচে-কানাচে পাকা সড়ক ও ব্রিজ করে উপজেলার সাথে চলাচলের সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজকের কচুয়ায় সকল উন্নয়ন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির মাধ্যমেই হয়েছে। প্রত্যাশা এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। কচুয়াকে স্মার্ট কচুয়ায় রূপান্তরিত করবেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর জনতার মঞ্চের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সে সময়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি সক্রিয় হন। তিনি ১৯৯৬ সালে পরিকল্পনা, বিমান ও পর্যটন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের আরো যারা মনোনয়ন চেয়েছেন তারা হলেন : কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়নপ্রাপ্ত মোঃ গোলাম হোসেন, কেন্দ্রীয় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসেন শিবলু, জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল আউয়ালের মেয়ে অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস ও লন্ডন প্রবাসী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন টিটু।
এদিকে ৩শ’ সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার জানা যাবে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন? সেই প্রতিক্ষার প্রহর গুণছে কচুয়াবাসী।
কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে ১০৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭শ’ ৬৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩শ’ ৩১ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪শ’ ২৭ জন।