মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে ‘মিধিলা’য় বিস্তীর্ণ এলাকার কুমড়াসহ শীতের ফসলি জমি বিনষ্ট
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলা’র প্রভাবে কয়েক ঘন্টার অতিবৃষ্টির জমা পানিতে হাজীগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার কুমড়ার জমিসহ শীতকালীন আগাম সবজির জমি বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমির আটকে পড়া পানি যথাসময়ে নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে ইতিমধ্যে কুমড়া গাছ ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছে। যে মাঠে পানি আটকে পড়েছে সে সকল জমির কুমড়া গাছ মরে যাবে আর সম্ভাব্য ক্ষতির হিসার নিরূপণ করার কাজ চলছে বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম।

খোঁজ নিয়ে ও সরজমিনে দেখা যায়, গত শুক্রবার দুপুরের পরই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ‘মিধিলা’। ‘মিধিলা’র কারণে ঝড়সহ বেশ কয়েক ঘন্টা টানা বৃষ্টি হয়। সেই টানা বৃষ্টির পানি কৃষি জমিতে আটকে থাকতে দেখা যায়।

এ দিকে বিভিন্ন স্থানে মাছ চাষের কারণে কিংবা বাড়ি বাড়ি রাস্তা করার কারণে কৃষি জমিতে বৃষ্টির পানি জমে তা কৃষি জমিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে।

১৮ নভেম্বর শনিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের সন্না-গোগরা-শ্রীপুর কৃষি মাঠের বিস্তীর্ণ এলাকার কুমড়ার জমিতে বৃষ্টির পানি জমে কুমড়া গাছগুলো পানির নিচে ডুবে রয়েছে। কৃষকরা হতাশা ছাড়া কোনো কথা বলতে চাইছেন না।

গোগরা হাওলাদার বাড়ির আবুল খায়ের হাওলাদার জানান, গোগরা বেপারী বাড়ির সামনে সিএন্ডবি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও নতুন বাড়ির রাস্তা নির্মাণের কারণে পুরো মাঠের পানি আটকে আমাদের সর্বনাশ করেছে। সকাল থেকে আমরা চাষীরা একত্রিত হয়ে সেই বাঁধ কেটে দেবার পরে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু ততক্ষণে কুমড়া গাছ সব ঝুঁকে গেছে।

অপরদিকে কুমড়া চাষে খ্যাত ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উচ্চগাঁ, অলিপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার কুমড়া জমিতে জমে থাকা পানি নামিয়ে দেবার জন্যে কৃষকরা শনিবার ভোর থেকে অপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন।

গোগরা রাজ বাড়ির ফারুক রাজ জানান, রাজ কাজ করে টাকা জুগিয়ে ৩০ শতাংশ জমিতে কুমড়া চাষ করি। পানি জমার কারণে সব শেষ হয়ে গেলো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম জানান, কৃষকের সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্লক সুপাভাইজারদেকে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়