মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় সাংগঠনিক শক্তিসহ ড. সেলিম মাহমুদের অবস্থান সুসংহত
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু গেছে নির্বাচনী আলোচনা। এখন চলছে দলের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না তা নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা। তবে এ আলোচনা সরকারি দলের মধ্যেই বেশি চলছে। সরকার বিরোধী অংশে নির্বাচন ঠেকানো, আবার নির্বাচনে অংশ নেয়া দুইটাই প্রস্তুতি চলছে। তাই বিরোধী জোট তথা বিএনপির মধ্যে এখন দলের মনোনয়ন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হচ্ছে না।

চাঁদপুরসহ সারাদেশেই ক্ষমতাসীন দল তথা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে এখন চূড়ান্ত দৌড়ঝাঁপ চলছে। দলীয় হাইকমান্ডের কাছে এবং মনোনয়ন বোর্ডের কাছে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরার কাজেই এখন ব্যস্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

চাঁদপুর জেলার নির্বাচনী আসন হচ্ছে পাঁচটি। চাঁদপুর-১ আসন হচ্ছে কচুয়া। এক উপজেলা ও একটি পৌরসভা নিয়ে একটা সংসদীয় আসন। এ আসনটিতে বর্তমানে সংসদ সদস্য হচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। ২০০৮ সাল থেকে পর পর তিনবারের এমপি তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর সে সরকারের সময়ে কিছুদিনের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তবে এবার কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো। এর পেছনে অবশ্য নানা কারণও রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নানা কারণের সাথে বয়সের বিষয়টাও অনেকটা সামনে চলে আসছে। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বর্তমানে অনেক বয়োঃবৃদ্ধ। সবকিছু বিবেচনায় চাঁদপুর-১ তথা কচুয়া আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেকটাই নিশ্চিত তাই বুঝা যাচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের সুবাতাস বইছে কচুয়ার আরেক কৃতী সন্তান, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. সেলিম মাহমুদকে ঘিরে। কচুয়ার আরেক বনেদি পরিবার ও রত্নগর্ভা মায়ের সন্তান ড. সেলিম মাহমুদকে নিয়েই এখন কচুয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনার ঝড়। সেলিম মাহমুদ বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। ইতোপূর্বে তিনি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. সেলিম মাহমুদকে এতোটা গুরুত্ব দেয়ার ফলেই দলের মনোনয়ন এবার সেলিম মাহমুদ পাচ্ছেন, সে সম্ভাবনাকে বেশ জোরালো করেছে। তবে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত, আস্থাভাজনই কি সেলিম মাহমুদের মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র নিয়ামক? নাকি আরো অন্য কিছুও রয়েছে? অন্য কিছু বলতে ভোট যুদ্ধে তিনি কতটুকু যোগ্য। কচুয়ায় তাঁর নিজস্ব অবস্থান কতটুকু সুসংহত, সাংগঠনিক শক্তি তাঁর কতটুকু রয়েছে সে সব বিষয় নেয়া হয়েছে মুখ্য বিবেচনায়।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে ইতোমধ্যে ড. সেলিম মাহমুদসহ সারাদেশের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তথ্য চলে গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত একাধিক টিম অনেক আগেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে একাধিকবার তথ্য জমা দিয়েছেন। সে সব সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এবং সরজমিনে কচুয়ার বেশ কিছু ইউনিয়ন ঘুরে এটি অনেকটা স্পষ্ট যে, ড. সেলিম মাহমুদ কচুয়ায় হেভিওয়েট প্রার্থী। তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং সাংগঠনিক শক্তি দুটাই তাঁর নির্বাচনী মাঠের জন্য বেশ উপযোগী। কচুয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, পৌর এবং উপজেলায় সাংগঠনিক শক্তির সাথে তাঁর একটা নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বসহ তৃণমূলের সাথে রয়েছে ড. সেলিম মাহমুদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। এক কথায় বলতে গেলে ড. সেলিম মাহমুদের পুরো উপজেলায় সাংগঠনিক শক্তি বেশ মজবুত রয়েছে। তিনি গত ক'বছর কচুয়ায় সাংগঠনিক বিভিন্ন যে প্রোগ্রামগুলো করেছেন, তাতে দেখা গেছে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। শুধু দলের কার্যক্রমই নয়, তিনি সামাজিক এবং মানবিক অনেক কাজ করেছেন কচুয়ায়। বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় ড. সেলিম মাহমুদ কচুয়াবাসীর পাশে ছিলেন নানা চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে। এ জন্যে কচুয়ার সাধারণ মানুষও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।

কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সহ-সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কচুয়া পৌরসভার মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার, সাচার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এবং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়ের সাথে কথা হলে তাঁরা ড. সেলিম মাহমুদের প্রতি জোরালো সমর্থন জানান। তাঁরা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী আমাদের নেত্রী কচুয়ায় ড. সেলিম মাহমুদের হাতে নৌকা তুলে দিবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়