মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

জেএমবির নৃশংস বোমা হামলায় নিহত ঝালকাঠির শহিদ দুই বিচারক স্বর্গীয় জগন্নাথ পাঁড়ে ও শহীদ সোহেল আহম্মেদ স্মরণে চাঁদপুর বিচার বিভাগের আয়োজনে শোক র‌্যালি ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিহত মৃত্যুঞ্জয়ী দুই বিচারকের স্মরণে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হকের নেতৃত্বে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে বিচারক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনজীবীরা অংশ নেন। র‌্যালি শেষে জেলা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে মৃত্যুঞ্জয়ী দুই বিচারকের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক। তিনি তাঁর বক্ত্যবে বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য নেতৃত্বেই আমরা এ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের আপামর মেহনতী মানুষদেরকে সাথে নিয়ে চোঁখে আঙ্গলু দেখিয়ে দিলেন মুসলমান হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিরা এ দেশের মানুষের সাথে শোষ নির্যাতন লুটপাট করছেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এ দেশের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। অল্প সময়ে জাতির পিতা এ দেশেকে স্বাধীন করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ দেশকে নিয়ে এতো সফলতা দেখে অন্তর জ্বালা যাদের মধ্যে ছিলো তাদের প্রতিমুহূর্তে এ জ্বালা রয়েই গেছে। এরাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ১৯ বার হত্যা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জঙ্গিবাদ গোষ্ঠী কোথায়ও সফল হতে পারেনি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি তাঁর বক্ত্যব্যে আরো বলেন, বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদ যে সময় নিহত হয়েছিলেন। সে সময় বাংলা ভাইসহ জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে এক ভয়াবহ অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। আমরা দেখেছিলাম ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা। এর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সংঘটিত হয়েছিল গ্রেনেড হামলা।

বিচারক জগন্নাথ-সোহেলের মৃত্যু দিবসে এই প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হয়ে স্পষ্ট বলতে চাই-আমরা বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী, প্রগতিশীল, সুকুমারবৃত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশ হবে সারাবিশ্বের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চিন্তা-চর্চার প্রাণকেন্দ্র। আগামীর বাংলাদেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত বাংলাদেশ।

স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইবুন্যালের বিচারক আবদুল হান্নান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরুল আলম সিদ্দীক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) ফারহানা ইয়াছমিন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শহীদুল আমিনসহ বিচারকগণ।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর এইদিনে কোয়ার্টার থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ঝালকাঠি জেলা জজ শীপের দুই বিচারক শহিদ সোহেল আহমেদ ও স্বর্গীয় জগন্নাথ পাঁড়কে বহনকারী গাড়িতে বোমা মেরে হত্যা করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়