মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফরিদগঞ্জের শিক্ষা ও রাজনীতিতে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালনকারী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ সিরাজুল হক বিএড-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগমের জন্য দোয়ারত অবস্থায় ১৪৩৪ সনের ১২ রমজান ইফতার পূর্ব মুহূর্তে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে..রাজিউন)। এ উপলক্ষে মরহুমের ছেলে চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান মিঠুর বাসভবনে দোয়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন সিরাজুল ইসলাম বিএবিএড। স্পষ্টবাদী এই নেতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুঃসময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া দীর্ঘসময় তিনি শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত থাকার সুবাদে শিক্ষক সমিতির নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দান করেন।

বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা ১৯৪৬ সালের ২০ মে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ত্রিদোনা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ভূঁইয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় অধিকাংশ সময় তিনি নিজেকে শিক্ষা, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রাখেন। বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে সংগঠনের নিজস্ব সম্পত্তি ও ভবন নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

শিক্ষকদের যে কোনো দাবি-দাওয়া আদায়ে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতেন। যার জন্যে শিক্ষক সমাজে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় ও সমাদৃত ছিলেন। তিনি কালিরবাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও শিক্ষার মান উন্নয়ন করে বিদ্যালয়কে অনন্য স্থানে নিয়ে যান।

তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সাথে ঐতিহ্যবাহী খাজুরিয়া ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা ও দোয়ানুষ্ঠানে শরিক হওয়ার জন্যে পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মরহুমের একমাত্র ছেলে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ মশিউর রহমান মিঠু।