চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় আনন্দ পরিবহনের মিনিবাসের সঙ্গে সিএনজি-স্কুটার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১ জন নিহত হয়েছে। পরে রাতে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন মারা গেছে। উভয়ই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী। এছাড়া একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে দুপুর পৌনে দুটার সময় গাছতলা কাদির গাজী মার্কেটের সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানাধীন।

নিহত যাত্রীর নাম সোহেল (৩২)। আহতরা হলেন চালক আলাউদ্দিন (৩৫), যাত্রী রুবেল (২৫), আব্দুল মাঝি (৬০), আঃ মজিদ (৫৫), পিয়ারা বেগম (৪০) ও তার দুই বছরের বাচ্চা। রুবেল নামে আহত যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আহতদের মধ্যে চালক আলাউদ্দিনকে বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুবেল, আব্দুল মাঝি ও আঃ মজিদের অবস্থা গুরুতর বলে কর্মরত চিকিৎসক আরএমও ডাঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং আহত অবস্থায় একটি শিশুসহ আমরা ৬ জনকে পেয়েছি। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে ঢাকা রেফার করা হবে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ নিহত যাত্রীর মৃতদেহ ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং দুর্ঘটনাস্থলে আনন্দ পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আনন্দ পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ফরিদগঞ্জ ও রায়পুরের দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে রায়পুরের ৭ জন যাত্রী নিয়ে সিএনজিটি চাঁদপুর যাওয়ার সময় সদর উপজেলাধীন গাছতলা কাদির গাজীর মার্কেটের সামনে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাস-সিএনজির সামনাসামনি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী সোহেলের মৃত্যু হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরপর ঘাতক বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। সিএনজির যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। রাত ১০টায় সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রুবেলের মৃত্যু সংবাদ জানা গেছে।