বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমরা সকলে মিলে কাজ করবো
স্টাফ রিপোর্টার ॥

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে করণীয় শীর্ষক সেমিনার ২৩ মার্চ বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান বিশ্ব ডিজিটাল প্রযুক্তির হাওয়ায় ভাসছে। আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে দেশে নতুন পদ্ধতি বা প্রযুক্তির উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই আধুনিক প্রযুক্তিতে বাংলাদেশও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে এবং বর্তমান বিশ্বে অনলাইন শ্রমশক্তিতে ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং দিন দিন অবস্থান সুদৃঢ় করে চলেছে। রূপকল্প ২০২১-এর মূল উপজীব্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে প্রণয়ন করা হয়েছিল। এ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অভাবনীয় সফলতা আসছে। এখন বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ স্মার্ট বাংলাদেশ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের উন্নয়নে কাজ এগিয়ে চলেছে। এই মহাপরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের মহাসড়ক।

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সকলে মিলে কাজ করবো। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ার পর যার যার অবস্থান থেকে আলাদা মতামত ও পরামর্শ প্রদান করছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করতে হলে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব, প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা জরুরি। সেই জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই মানবিক ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার নীতিগতভাবে চারটি মূলস্তম্ভ ধরে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যথা- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমির আলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি সন্নিবেশিত করে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য সেবা কৃষি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন কানেকটিভিটি সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য সহজ হবে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিভিন্ন সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে উন্নত করাসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আজকে অংশীজনদের মধ্যে থেকে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে দেয়া হয়। এ গ্রুপগুলো নির্দিষ্ট ছকে তাদের কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে প্রেরণ করবেন। পরবর্তীতে আরো বেশি সময় নিয়ে আমরা এসব বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।

অনুষ্ঠানে সেমিনারে করণীয় শীর্ষক বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ বশির আহমেদ।

এরপর অংশীজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুরের আট উপজেলার ইউএনও, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডিডি ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ, কবি ও লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়াসহ অন্যরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়