বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৪

জেলা পর্যায়ে সরাসরি বিক্রি শুরু হলেও নেই তৃণমূলে

স্মার্ট কার্ড না আসায় ফরিদগঞ্জে টিসিবি পণ্য বঞ্চিত প্রায় ৫ হাজার পরিবার

প্রবীর চক্রবর্তী
স্মার্ট কার্ড না আসায় ফরিদগঞ্জে টিসিবি পণ্য বঞ্চিত প্রায় ৫ হাজার পরিবার

টিসিবি’র স্মার্ট কার্ড না আসায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার পবিত্র রমজানে টিসিবির স্বল্পমূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর মধ্যে শুধু পৌর এলাকাতেই ২ হাজার ৭৯২টি কার্ডের বিপরীতে স্মার্ট কার্ড এসেছে ১ হাজার ৬০৬টি। আগামী দু-একদিনের মধ্যে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে এসব কার্ডের বিপরীতে পণ্য বিক্রি হবে বলে জানা গেছে। এদিকে বুধবার (৫ মার্চ ২০২৫) থেকে কার্ড ছাড়াই সরাসরি ভোক্তারা টিসিবি ক্রয় করার সুযোগ জেলা শহরে পাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এই সুযোগ উপজেলা শহর বা ইউনিয়ন পর্যায়ে নেই।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের জন্যে ১৭ হাজার ১১৩টি কার্ড এবং পৌরসভার জন্যে ২ হাজার ৭৯২টি কার্ড সহ মোট ১৯ হাজার ৯০৫টি কার্ডের বিপরীতে বিগত সময়ে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ টিসিবি নির্ধারিত পণ্য স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারতো কার্ডধারীরা। কিন্তু সরকার টিসিবি পণ্যের জন্যে স্মার্ট কার্ড ইস্যু শুরু করে। সেই হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মোট ১৯ হাজার ৯০৫টি কার্ডের বিপরীতে এই পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড এসেছে ১৫ হাজার ২৫৯টি। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ২৭৯২টি কার্ডের বিপরীতে এসেছে ১ হাজার ৬০৬টি, গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৯টি কার্ডের বিপরীতে স্মার্ট কার্ড এসেছে ৬২২টি, চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ৯৬৫টি কার্ডের বিপরীতে স্মার্ট কার্ড এসেছে ৬২৫টি। আবার বিপরীত চিত্রও রয়েছে। চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের ১ হাজার ২৩৩টি কার্ডের বিপরীতে স্মার্ট কার্ড এসেছে ১ হাজার ২৩১টি। চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের মাত্র দুটি কার্ড ছাড়া সব কার্ড এলেও নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাইন উদ্দিন জানান, আমরা প্রায় সব স্মার্ট কার্ড পেলেও মৃত, প্রবাসে চলে যাওয়া, এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া, শহরে থাকা এমন অনেক কার্ড মালিক নেই। এসব কার্ডের পরিবর্তন করা অত্যাবশ্যক। কেননা দরিদ্র পরিবারগুলো বঞ্চিত হচ্ছে।

গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, তার ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৯টি কার্ডের বিপরীতে স্মার্ট কার্ড এসেছে ৬২২টি। এর মধ্যে ২২টি কার্ডের গ্রাহক মৃত বা প্রবাসে রয়েছে। বাকি থাকা কার্ডগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত পাঠালে আমার ইউনিয়নের লোকজন আর বঞ্চিত হবে না।

চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানান, তার ইউনিয়নে ৯৬৫টি কার্ডের বিপরীতে স্মার্ট টিসিবি কার্ড এসেছে ৬২৫টি। এর মধ্যে মৃত, প্রবাসে যাওয়া বা বর্তমানে এলাকায় না থাকা লোকজনও রয়েছে। আমি ইতোমধ্যেই বাকি কার্ডের জন্যে ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন করেছি। এখন বাকিটা কর্তৃপক্ষের বিষয় ।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আবু সুফিয়ান খান জানান, আমাদের মাত্র ১ হাজার ৬০৬টি স্মার্ট টিসিবি কার্ড এসেছে ২ হাজার ৭৯২টি কার্ডের বিপরীতে। স্মার্ট কার্ডধারীরাই শুধুমাত্র টিসিবি পণ্য ক্রয় করতে পারবে, অন্যরা নয়।

এ ব্যাপাারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, যারা এখনো কার্ড পায়নি তাদের কার্ড প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা প্রিন্টেড কার্ড পাওয়া মাত্রই বিতরণ করবো। এদিকে সরকার টিসিবির পণ্য বুধবার (৫ মার্চ ২০২৫) থেকে রাজধানী, বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে টিসিবি স্মার্ট কার্ডবিহীন লোকজনের কাছে বিক্রি শুরু করেছে। ফলে এসব এলাকার স্মার্ট টিসিবি কার্ডবিহীন লোকজন উচ্চ দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে পবিত্র মাহে রমজান চলাকালীন কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ টিসিবি পণ্য সরাসরি বিক্রি উপজেলা শহর বা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়