প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:৩০
চাঁদপুর শহরে জমে উঠেছে বাহারি ইফতার বেচাবিক্রি

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম থেকেই চাঁদপুর শহরে জমে উঠেছে হোটেল-রেস্তোরাঁর বাহারি ইফতার বেচাবিক্রি। প্রথমদিকে রোজাদাররা বাসায় ইফতার করলেও এখন সময়ের সাথে কর্মব্যস্ততাকে গুরুত্ব দিচ্ছে মানুষ। তাই রোজাদার মুসল্লিগণ এখন সহজ সমাধান হিসেবে হোটেল রেস্তোরাঁর ইফতারের দিকেই ঝুঁকছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ঘুরলে ইফতার বেচাকেনার ব্যস্ততা দেখা যায়।
পুরাণবাজার নিতাইগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান মানিক নামের এক রোজাদার বলেন, রমজানের প্রথম দিকে সকল শ্রেণী-পেশার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ দিনের বেলায় অফিস বা কাজ শেষ করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করেছেন। তবে এখন সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের সর্বত্র জমে উঠেছে ইফতার বাজার। দুপুর থেকেই বিভিন্ন হোটেলে দোকানিরা বৈচিত্র্যে ভরপুর লোভনীয় ইফতার সামগ্রী থরে থরে সাজিয়ে রাখছেন টেবিলে। বাহারি সেই ইফতার কিনতেই ক্রেতাদের এই উপচেপড়া ভিড়।
চাঁদপুর শহরের স্ট্র্যান্ড রোডে আজিজিয়া রেস্তোরাঁ, রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনের ক্যাফে জামান, ঢাকা হোটেল, আল-হেলাল রেস্টুরেন্ট, চাঁদপুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, নতুন বাজারে নিউ ক্যাফে ঝিল, ইলিশ চত্বরে আবরার ও ক্যাফে ঝিল, চেয়ারম্যান ঘাটে স্বাদ ঘর, পুরাণবাজার শাহী মসজিদের সামনে, লোহারপুল খায়ের মুন্সির দোকান, পাশের মোড়ে শাহেনশার দোকান, মসজিদ পট্টিতে আসলাম তালুকদারের হোটেলসহ শহরের বিভিন্ন সড়কে ও পাড়া মহল্লার ছোট-বড় খাবারের দোকানগুলোতে পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, চিকেন কাবাব, খাসির কাবাবসহ হরেক রকমের বাহারি ইফতারি জমজমাটভাবে বেচাকেনা করতে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আরিফুল বলেন, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যাতে দোকানিরা ইফতার বিক্রি করে সে পরামর্শ রইলো। একই সাথে ইফতারের দামও যাতে সহনীয় পর্যায়ে রাখে সেদিকটিও বিবেচনায় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করা হলো।