আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে তরল অক্সিজেনের (গ্যাস) মজুদ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আরও তিন হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন (তরল গ্যাস) যুক্ত হয়েছে এই প্লান্টে। এদিন দুপুরে স্পেক্ট্রার একটি তরল গ্যাসবাহী কন্টেইনার হাসপাতালে আসার পর অক্সিজেন প্লান্টের ট্যাকিংতে তিন হাজার লিটার তরল গ্যাস ঢুকানো হয়। প্রথম পর্যায়ে গত সোমবার রাতে সাড়ে ৩ হাজার লিটার, গতকাল ৩ হাজার লিটার, মোট সাড়ে ৬ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ঢুকানো হলো এ ট্যাকিংতে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।

তিনি জানান, সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের সহায়তায় এখানে সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করে স্পেক্ট্রা। যার ধারণক্ষমতা সাড়ে ৮ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন। আমরা সাড়ে ছয় হাজার লিটার পেয়েছি। এই মজুদ থাকতেই অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রাখবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, চাঁদপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলার বড় এই হাসপাতলে মানুষের জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ শুরু হয়। তখন করোনা রোগীকে বাঁচাতে অপরিহার্য হয়ে পড়ে অক্সিজেনের। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চাঁদপুর জেলার বৃহৎ এ হাসপাতালে সেন্ট্রাললি একটি লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। সেটি ৪ আগস্ট দুপুরে তিনি উদ্বোধনও করেন। চালু হওয়া এ প্লান্ট থেকে এখন হাসপাতালের ৫০ জন করোনা রোগী অক্সিজেন সাপোর্ট পাচ্ছে। আরও শতাধিক রোগীর অক্সিজেন সরবরাহের জন্যে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।