প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
গাউছিয়া হাশেমিয়া সেকান্দর আলী সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় শ্রেণী কক্ষ সঙ্কটে রয়েছে। শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নে অবস্থিত উপজেলার সবচেয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করে। জানা যায়, মাদ্রাসাটির অবস্থান হোসেনপুর এলাকায়। অত্র এলাকায় কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান না থাকায় দানবীর আলহাজ্ব মোঃ সেকান্দর আলী ১.৮৮ একর সম্পদ দান করে গত ০১/০১/১৯৭৯ তারিখে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। যার কারণে মাদ্রাসাটির নামকরণ তাঁর নামেই হয়েছে। বৃহত্তর টামটা ইউনিয়নে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টিতেই বর্তমান সরকারের সময়ে উন্নয়ন হয়েছে, যা দৃশ্যমান রয়েছে।
শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম শিক্ষকদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক বিধায় সকল প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয়েছে। গাউছিয়া হাশেমিয়া সেকান্দর আলী সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসাটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ৮৫০জন। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ বিধায় প্রতিনিয়তই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদ্রাসার ২৬ ফুট প্রস্থ এবং ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে উত্তর পার্শ্বের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান অবস্থাতে শ্রেণী-পাঠদান অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। এলাকার জনসাধারণ শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নিকট মাদ্রাসাটির জন্যে একটি চারতলা একাডেমিক ভবন প্রত্যাশা করেছেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারী বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের নিকট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনুপাতে একটি চারতলা একাডেমিক ভবন প্রাপ্তির প্রত্যাশা করে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মাদ্রাসার শিক্ষক সংখ্যা মোট ২১ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ৬ জন। খণ্ডকালীন শিক্ষক নেই। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকের চাহিদা রয়েছে ৭ জনের। বিগত পাঁচটি পরীক্ষায় ফাজিলের রেজাল্ট শতভাগ। শিক্ষকদের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে। মাদ্রাসাটির কর্তৃপক্ষ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বরাবরে টামটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক দর্জির মাধ্যমে গত ১৯/১০/২০২২ তারিখে মাদ্রাসাটি সম্পর্কে জানিয়ে একটি দরখাস্ত করেছে। তিনি এর একটি ব্যবস্থা অবশ্যই করবেন বলে শিক্ষক-কর্মচারী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং এলাকার সাধারণ মানুষ আশা প্রকাশ করছেন। বর্তমান প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ড. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের এমন প্রত্যাশায় সম্মতি রয়েছে বলে জানা যায়।