সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

মতলব দক্ষিণে চলাচলের পথ বন্ধ করে চলছে বালুর ব্যবসা
সোহাঈদ খান জিয়া ॥

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নারায়ণপুর বাজারের মাছুয়াখাল রোডে চলাচলের পথ দখল করে চলছে রমরমা বালু ব্যবসা। নারায়ণপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক প্রধান দীর্ঘদিন মাছুয়াখাল রোডের উপর নারায়ণপুর (সাতানি) এলাকায় বালুর ব্যবসা করে আসছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী শিশু ও বয়স্করা। এ বালুর ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। এদিকে আব্দুর রাজ্জাক প্রধানের বালুর ব্যবসা কেবল রাস্তার মানুষকেই কষ্ট দিচ্ছে না। বছরের পর বছর নারায়ণপুর মডার্ণ সিটির ও মাছুয়াখাল রোডের সংযোগ সড়কের একটি অংশ বন্ধ করায় এ সড়কে চলাচলকারী শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। আর বালুর আস্তরণে জিম্মি করে রাখছে কয়েকটি পরিবারকে।

সরেজমিনে জানা যায়, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক প্রধানের প্রতিবেশী মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধানের ছেলে মোঃ সুমন প্রধানের বাড়ির উঠান, টয়লেট, রান্নাঘর বালুর আস্তরণের নিচে পড়ে আছে। মোঃ সুমন প্রধান জানান, যখন বালু উত্তোলন করে তখন আমার বাড়ির উঠোন বসত ঘরের আশপাশ, টয়লেট পানির নিচে চলে যায়। এছাড়া যখন বাতাস থাকে তখন বালু উড়ে ঘরের আসবাবপত্রে বালুর প্রলেপ পড়ে থাকে। তিনি আরও জানান, বালুর কারণে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এতে আমার শিশু সন্তানের প্রায় সাড়া বছরই সর্দিজ্বর, শ্বাসকষ্ট লেগেই থাকে। তিনি আরও জানান, গত ৮ ডিসেম্বর এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তার ফাহমিদা হকের নিকট এ সমস্যা থেকে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছিলাম। তিনি এ সমস্যা সমাধানে ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু মোঃ আব্দুর রাজ্জাক তাদের নির্দেশনা অমান্য করে বহাল তবিয়তে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোঃ সুমন প্রধান আরও জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি আবারও বর্তমান মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বরাবর এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে আরও একটি আবেদন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, আমরা এ রাস্তায় চলাচল করতে পারি না। ধুলাবালির কারণে আমাদের চোখে অনেক সমস্যা হয়। আমরা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। বালুর ব্যবসাটি নারায়ণপুর (সাতানি) এলাকার একটি বিষফোঁড়া। যখন বালুর ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে তখন রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার মতো পানি প্রবাহিত হয়। এতে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের নিদারুণ কষ্ট হয়। এটি এখান থেকে স্থানান্তর করা দরকার। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধানের বাড়ির পথ বন্ধ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধানের বাড়ির লোকজন চলাচলের সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সমস্যায়ও ভুগছে।

বালুর ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জিসান বলেন, বালু উত্তোলনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি চলে যায়। এজন্যে আমরা দুঃখিত। আগামীতে যাতে পানি না যেতে পারে সেজন্যে আমরা দেয়াল করে দেবো।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, আমাকে কেউ জানায়নি। তবে কারো ক্ষতি করে কেউ এখানে বালুর ব্যবসা করতে পারবে না। বিষয়টি আমি দেখবো।

এ বিষয়ে ৩নং খাদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়