বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

বর্তমানে চাঁদপুর জেলা বিএনপি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে এক ও ঐক্যবদ্ধ
গোলাম মোস্তফা ॥

সাবেক ছাত্রনেতা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শরীফ মোঃ ইউনুছ বলেছেন, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে এক ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আমরা সবাই খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আমাদের নেতা। আমরা জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কর্মী। আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। শুধু জেলায় নয়, চাঁদপুর জেলা বিএনপির অধীনস্থ কোনো ইউনিটে কোনো ধরনের গ্রুপিং নেই।

চাঁদপুর জেলা বিএনপি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত এক ও ঐক্যবদ্ধ। যারা বলে বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে, তাদের বিএনপির মধ্যে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এরা বিএনপির ভালো চায় না। এরা বিএনপির তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভক্তি করতে চায়।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নি¤েœ তা তুলে ধরা হলো -

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে কবে?

শরীফ মোঃ ইউনুছ : চলতি বছরের ২ এপ্রিল চাঁদপুর সদর উপজেলার নানুপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : এ সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে কবে নাগাদ?

শরীফ মোঃ ইউনুছ : জেলা বিএনপির সম্মেলনের পর নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিম জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও জেলা বিএনপির অধীনস্থ সকল ইউনিটসহ ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাথে বসে সকলের মতামত নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরে প্রস্তাবিত কমিটি জমা দিয়েছেন। হয়তো খুব শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে ঘোষণা দেয়া হবে।

চাঁদপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ার কারণ হচ্ছে, চাঁদপুরে এমন কিছু স্বঘোষিত নেতা রয়েছে যারা কেন্দ্রে গিয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির কর্তা সাজতে চায় এবং শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সাহেবের প্রস্তাবিত চাঁদপুর জেলা বিএনপির কমিটির বিরোধিতা করে। এই সমস্ত স্বঘোষিত নেতাদের বিরুদ্ধে এই মামলাবাজ সরকারের আমলে একখানা মামলা নেই। অথচ শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক খুনের মামলাসহ বহু মামলার আসামী হয়েছেন এবং কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে। যারা প্রস্তাবিত কমিটির বিরোধিতা করে এদেরকে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে নেতা-কর্মীরা দেখে না, এমনকি রাজপথে এদের পাওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে একটি মামলাও নেই। এরা বিএনপির কেমন নেতা?

অথচ বিএনপির মহাসচিবের বিরুদ্ধে শত শত মামলা, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বেশ ক’বার জেল খেটেছেন, তার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা। তিনি বিএনপির এই দুঃসময়ে দলের হাল ধরে চাঁদপুর জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। প্রতি মুহূর্তে নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। বিভিন্ন উপায়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সেই নেতার নেতৃত্ব নিয়ে উল্লেখিত সিজনাল নেতারা কেন্দ্রীয় দপ্তরে বিভিন্ন কথা বলেন। অবশ্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর জেলা বিএনপির সব বিষয় জানেন।

এসব তথাকথিত, নিজেদের কর্তা সাজানো নেতাদের কারণে হয়তো সামান্য সময় বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি সহসাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : বিএনপির কোনো শাখার সম্মেলন সম্পন্ন হবার কতোদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠাতে হয়? আর প্রেরিত কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদন দিতে হয় কতোদিনে? এ বিষয়ে বিএনপির গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা আছে কি?

শরীফ মোঃ ইউনুছ : বিএনপির গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত দুটি প্রশ্নের কোনো সময়সীমা বা গঠনতন্ত্রে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেয়া নেই। তবে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সময় দিতে পারছেন না। এ কারণে হয়তো বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই চাঁদপুর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

তাছাড়া শুধু বিএনপি নয়, দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া নেই।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনারা নানা ইস্যুতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না ঘোষণা দিয়ে কার্যত সরকার পতনের আন্দোলনই করছেন। আন্দোলনের সাফল্যের ব্যাপারে কতোটুকু আশাবাদী?

শরীফ মোঃ ইউনুছ : অবশ্যই আমরা আন্দোলনে সফলতা অর্জন করবো এবং আমরা বিজয়ী হবো। কারণ বিএনপির নেতৃত্বে ’৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করে আমরা বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছি।

আমাদের এ আন্দোলনের সাথে এদেশের জনগণ রয়েছে, তার প্রমাণ বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে নজর দিলে তা বোঝা যায়। আমাদের এ আন্দোলন গণতন্ত্রের এবং জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : জেলা বিএনপির মধ্যে কোনো গ্রুপিং আছে বলে মনে করেন? উপজেলা পর্যায়ের কী অবস্থা? সারাদেশের সর্বত্র গ্রুপিং না মিটিয়ে আপনাদের আন্দোলনের সাফল্য কি পুরোপুরি আদায় করতে পারবেন?

শরীফ মোঃ ইউনুছ : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এদেশের একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং তিনবারের রাষ্ট্র পরিচালনাকারী দল। এই দলে একটি পদে একাধিক ব্যক্তি যোগ্য ব্যক্তি রয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পদবীর জন্য নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু দলের বৃহৎ স্বার্থে চাঁদপুর জেলা বিএনপিতে কোনো গ্রুপিং নেই। বিএনপি এক ও ঐক্যবদ্ধ।

আমরা সবাই খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অধীনে আমরা জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নেতা-কর্মী। আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। শুধু জেলায় নয়, চাঁদপুর জেলা বিএনপির অধীনস্থ কোনো ইউনিটে কোনো ধরনের গ্রুপিং নেই।

চাঁদপুর জেলা বিএনপি অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে পর্যন্ত এক ও ঐক্যবদ্ধ। যারা বলে বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে, তাদের বিএনপির মধ্যে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এরা বিএনপির বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রকারী এবং দলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার হীন চক্রান্তকারী।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নমালার বাইরে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে উপস্থাপন করুন।

শরীফ মোঃ ইউনুছ : বিএনপির আন্দোলন দেশ রক্ষার আন্দোলন। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা, দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং অবৈধ সরকারের পতন আন্দোলন। আমরা নিরপেক্ষ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যে যুদ্ধে অবতীর্ণ আছি। আগামীর রাষ্ট্র নায়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দশনায় এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের আন্দোলন চলবে। শীঘ্রই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। আমরা এ সরকার পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবাধয়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় এই যুদ্ধের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতএব এ যুদ্ধে বিজয় আমাদের অতি সন্নিকটে, বিজয় হবেই ইনশাআল্লাহ। উল্লেখ্য, শরীফ মোঃ ইউনুছ ১৯৮২ সাল থেকে শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করেন। এরপর ১৯৮৬ সালে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, ১৯৮৬ সাল থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত দুবার জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুইবারের আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়