মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

রেদওয়ান খান বোরহানের শোক বাণী
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

বাংলাদেশ আওয়ামী মৎসজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি, চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আলহাজ মোঃ রেদওয়ান খান বোরহান এক শোকবার্তায় বলেন, আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকাবহ দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। আমি এদিনে শোকাহতচিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী কুলাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হন।

হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, সহোদর শেখ নাসের, কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ, আব্দুল নঈম খান রিন্টুকে। এ ঘটনা কেবল বাঙালির ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। জাতীয় শোক দিবসে আমি পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে সেদিনের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। তাঁরই নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্জন করে বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে তদানীন্তন ’৫৮-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনসহ এদেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি এই জাতিকে নেতৃত্ব দেন। এজন্যে তাঁকে বহুবার কারাবরণসহ অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। দু দশকেরও বেশি সময় ধরে এদেশের জনগণকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এজন্যে পুনরায় তাঁকে কারাবরণ করতে হয়, যেতে হয় ফাঁসির মঞ্চে। তবুও তিনি শত্রুর সাথে আপোস করেননি। দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সারাজীবন সমুন্নত রেখেছেন। দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাই ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শ ও নীতিকে ধ্বংস করতে পারেনি। এ দেশ ও জনগণ যতোদিন থাকবে, ততোদিন জাতির পিতার নাম এদেশের লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে।

আশার কথা, দীর্ঘ ৩৫ বছর পরে হলেও জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। জাতি আজ অনেকটা কলঙ্কমুক্ত। যেসব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘাতক আজো বিদেশে পালিয়ে রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাতে হবে। জাতি জানবে হত্যাকারীদের ঠাঁই পৃথিবীর কোথাও নেই।

জাতির পিতা ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের দায়িত্ব হবে দেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে এবং আমরা এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।

জাতীয় শোক দিবসে আসুন, আমরা জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করি এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করি।

-আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহান : চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎসজীবী লীগ; সভাপতি, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিটি নিয়ন গ্রুপ; প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভয়েস বাংলা ফাউন্ডেশন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়