মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ইকরাম চৌধুরী ছিলেন সাংবাদিকদের বটবৃক্ষ
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বরেণ্য সাংবাদিক ইকরাম চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে নাজিরপাড়াস্থ দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ কার্যালয়ে এ স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরীর সভাপ্রধানে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বটবৃক্ষ ইকরাম চৌধুরীর মৃত্যু আমাদের জন্যে অপূরণীয় ক্ষতি। তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তবে এই চাঁদপুর দর্পণ পত্রিকাটির কার্যক্রম কোনোভাবে যাতে বন্ধ না হয় সে বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত বলেন, ইকরাম চৌধুরী চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কিছু অচলায়তন ভেঙ্গেছেন। নতুনদেরকে তৈরি করেছেন, প্রেসক্লাবে ঢুকিয়েছন। তাঁর মাথার মধ্যে সারাক্ষণ থাকতো প্রেসক্লাব। টিনশেড থেকে চারতলা ভবনের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। প্রেসক্লাবের ইতিহাস লেখা হয়েছে, সেখানে ইকরাম চৌধুরীর নাম এসেছে। ফরিদগঞ্জ ফাউন্ডেশন তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। চাঁদপুরের দোকান শ্রমিকদের প্রতি শুক্রবার ছুটি প্রাপ্তি ইকরাম চৌধুরীর অবদান। তাঁর সাহস কারও সাথেই তুলনা করা যায় না। ইকরাম চৌধুরী মাঠপর্যায়ের একজন সাংবাদিক হয়েও বহুমুখী প্রতিভার মানুষ ছিলেন। তিনি সাহসিকতার সাথে নানা বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে সফল হয়েছেন। ইকরাম চৌধুরীর নামে প্রেসক্লাবের কক্ষ ও শহরের সড়ক নামকরণের ব্যাপারে আমরা কাজ করবো।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস বলেন, মানুষকে ভালোবাসার অপার গুণাবলি ইকরাম চৌধুরীর মাঝে ছিলো। এমন মানুষ হয়তো চাঁদপুর প্রেসক্লাবে আগামী ১০/১৫ বছরেও পাওয়া যাবে না। আমি আজ যা কিছু, সব তাঁর অবদান। আমি এমন মানবিক নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা বলেন, তিনি শুধু সাংবাদিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংগঠক। বাংলাভিশনে সাংবাদিকতা শুরু করেছি, ক্যামেরা ছিলো না। তিনি আমাকে সাংবাদিকতা শিখিয়েছেন। প্রেসক্লাবের সদস্য করেছেন। জীবিত অবস্থায় আমরা তাঁকে যোগ্য সম্মান দিইনি, আজকে মারা যাওয়ার পরে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি। জীবিত অবস্থায়ই মানুষকে স্মরণ করতে হবে, সম্মান করতে হবে। এ চাঁদপুর দর্পণ পত্রিকাটি টিকে থাকলেই ইকরাম চৌধুরী সবার মাঝে টিকে থাকবেন। তাই যে কোনো মূল্যে পত্রিকাটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী বলেন, আমাকে তৈরি করেছেন তিনি। আমার মহাশিক্ষক ছিলেন ইকরাম চৌধুরী। আমি সবখানেই সেটা স্বীকার করি। বড় বাঁধ ভেঙ্গে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিক নিয়ে দুর্দান্ত এক গতিশীল প্রেসক্লাব তৈরি করেছেন তিনি। ইকরাম চৌধুরী ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তার নামে একটি ট্রাস্ট চালু রয়েছে। সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

দৈনিক চাঁদপুর দর্পণের বার্তা সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাসের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ-এর সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী, সহ-সম্পাদক ফণী ভূষণ চন্দ, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকালীন সহকারী বার্তা সম্পাদক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, মফস্বল সম্পাদক একে আজাদ, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ, চাঁদপুর দর্পণের বিজ্ঞাপন ম্যানেজার ও স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আশরাফুল আলম, স্টাফ রিপোর্টার সুজন চৌধুরী, সাবেক স্টাফ রিপোর্টার এমআর হারুন, স্টাফ রিপোর্টার শেখ শরীফ ও মোঃ এনামুল হক, কচুয়ার অফিস প্রধান আবুল হোসেন, মতলব উত্তরের অফিস প্রধান শামসুজ্জামান ডলার, শাহরাস্তির অফিস প্রধান মাসুদ রানা, ফরিদগঞ্জ অফিস প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হাজীগঞ্জ অফিস প্রধান এসএম মিরাজ মুন্সি, স্টাফ রিপোর্টার মহসীন আলম, হাইমচর প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি গাজী মমিন প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন মরহুম ইকরাম চৌধুরীর সহধর্মিণী আছমা ইকরাম, তাঁর মেয়ে ইয়ানা চৌধুরী, সাপ্তাহিক চাঁদপুর সকাল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোশাররফ হোসেন লিটন, দৈনিক আদি বাংলার বার্তা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম শান্ত, হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান জীবন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি মাসুম তালুকদার, হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রিপন, পত্রিকার সাবেক পেস্টার নূরুজ্জামান প্রমুখ।

স্মরণসভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন বিজ্ঞাপন ম্যানেজার আশরাফুল আলম। এছাড়াও মরহুম ইকরাম চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং স্মরণসভা শেষে নাজিরপাড়ার কলেজ মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত এবং তবররুক বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়