প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
অবশেষে চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌ-রূটে একটি রো রো ফেরি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। ৮ আগস্ট সকাল দশটায় ‘ভাষাসৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা’ নামের রো রো ফেরিটি চাঁদপুর হরিণাঘাট থেকে চলাচল শুরু করে। এর আগে এ ঘাটের মসজিদ সংলগ্ন স্থান দিয়ে উক্ত ফেরির জন্যে ঘাট স্থাপন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিসির হরিণা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ফয়সাল আলম চৌধুরী।
তিনি জানান, রো রো ফেরিটিসহ চাঁদপুর-শরীয়তপুর রূটে এখন আটটি ফেরি চলাচল করছে। আগে ফেরির জন্যে গাড়ি অপেক্ষা করতে হতো। এখন ঘাটে ফেরি গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, খুলনা-বরিশালসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ জেলার গাড়ি পদ্মা সেতু পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে শরিয়তপুরে অনেক জায়গার রাস্তা খারাপ।
ম্যানেজার বলেন, আগের তুলনায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটে গাড়ি আসা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। বিভিন্ন পরিবহনের দেড় থেকে দুশ’ বাস ফেরি পার হতো। এখন ৮-১০টি বাস পারাপার হচ্ছে। এখন রো রো ফেরি দেয়ায় ফেরি পার হওয়ার জন্যে গাড়িকে তেমন অপেক্ষায় থাকতে হয় না।
উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগের জন্যে মেঘনা নদীর ওপর চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি নৌ-রূট ২০০০ সালে চালু হয়। বিকল্প কোনো সড়কপথ না থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে ১০০-২০০ কিলোমিটার পথ পর্যন্ত বেশি অতিক্রম করতে হয় এরকম ২০ জেলার বাসিন্দাদের সড়কপথের দূরত্ব ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে প্রায় বাইশ বছর যাবত এই ফেরি সার্ভিস চলে আসছে।
ইতিমধ্যে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি রূটে মেঘনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও শেষ হয়েছে। এখন দেখার অপেক্ষা চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের ভবিষ্যৎ কোন্ দিকে যায়।