প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলার নদী তীরবর্তী উপজেলার সর্বত্র চায়না (রিং) জালে সয়লাব হয়ে গেছে। এতে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। দেখা গেছে যে, এক শ্রেণির পেশাদার মাছ শিকারী একেকজন ৫/৭টা করে চায়না (রিং) জাল পেতে রাখে। এ সকল জালে মাছের রেণু হতে শুরু করে বড় মাছও আটকা পড়ে যায়। এ সকল জাল নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও এ জাল দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা সর্বত্র দেখা যায়।
এ সকল অবৈধ জালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। মৎস্য বিভাগ কেনই-বা এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে তা জনগণের প্রশ্ন। মনে হচ্ছে, জাল বিক্রেতারা মৎস্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে জাল বিক্রি করে থাকে। আর সে জাল নদীর তীরবর্তী এলাকার মাছ শিকারীরা বেশি ব্যবহার করছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ সকল জাল দিয়ে যে সকল এলাকায় মাছ শিকার করা হয় সে এলাকাগুলো হচ্ছে : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী, পাইকদী, পশ্চিম সকদী, হামানকর্দ্দি, চরমেয়াশা, রামচন্দ্রপুর, হাজরা, চাঁদপুর মৌজা, নানুপুর, মৈশাদী, শেখেরহাট, গাছতলা, ফরিদগঞ্জের বেহারিপুর, ইসলামপুর, কামতা, গল্লাক, মুন্সীরহাট, একতা বাজার এবং হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকা।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, চায়না (রিং) জাল দিয়ে ছোট মাছের রেণু হতে শুরু করে বড় মাছও নিধন করা হয়ে থাকে। বাজারে এখন আগের মতো দেশীয় প্রজাতির মাছ নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দেয় না।