প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুরে মেঘনা ধনাগোদা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গতকাল ৫ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মেঘনা ধনাগোদা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দামোদরদী মিয়ার বাজার হতে বড়দিয়া আড়ং বাজার গুদারাঘাট পর্যন্ত ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা।
ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিচার্জ সুপারিন্টেন্ডেন্ট সেলিম গাজী, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
পরিদর্শনকালে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই এলাকার নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আজ পরিদর্শন করা হলো। দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নিতে গেলে সময়ের ব্যাপার। আপাতত আমরা স্বল্পমেয়াদী প্রকল্পের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেবো। পরবর্তীতে শুকনো মৌসুমে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে মেঘনা-ধনাগোদা নদী ভাঙ্গন রোধে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
১নং বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান শামীম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘনা-ধনাগোদা নদীর কারণে এলাকা ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শত শত পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমনে এলাকার মানুষ আশ্বস্ত হয়েছে। তবে কোনো লোক দেখানো নয়, নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে সমাধানের কাজ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১নং বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খান শামীম, প্রধান সমন্বয়ক শাহ মোঃ আজিজুর রহমান পটু, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল বেপারী, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ মোঃ জাবেদ, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আঃ রহিম কাজী, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহেল খান, সদর উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সোহেব এমরান (পারী) প্রমুখ।
এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবির পাটওয়ারী, আলী আজগর খান, সুমন পাটওয়ারী, রুহুল আমিন ঢালীসহ নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।