সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ব্লু ইকোনমি থেকে কয়েক বছরেই বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব
অনলাইন ডেস্ক

নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হলে ব্লু ইকোনমি থেকে কয়েক বছরেই বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব— এমনটি বলেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

সোমবার (১ আগস্ট) বিডার কনফারেন্স রুমে ‘ব্লু ইকোনমি : প্রসপেক্টিভ ইকোনমিক এনগেজমেন্ট’ বিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনাময় খাত। প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে পারলেই এ খাত থেকে আগামী কয়েক বছরেই বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।

তিনি যথাযথভাবে নীতি প্রস্তুত এবং বিদ্যমান নীতিগুলো দ্রুত সংস্কার করে সহজ বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে পরামর্শ দেন। এ সময়ে তিনি সুনীল অর্থনীতির খাতভিত্তিক আলোচনা করেন এবং প্রতিটি খাতকে গুরুত্বসহ তুলে ধরার কথা বলেন।

সেমিনারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম কিনোট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন মোট ৬৬৪ বর্গকিলোমিটার, কিন্তু মাছ আহরণ করা হয় মাত্র ৬০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে। ২০১২ সালে সাগর সীমানায় মালিকানা প্রতিষ্ঠা হলেও, এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে তেল ও গ্যাসসহ সামুদ্রিক সম্পদ। এ বিষয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও, তা আলোর মুখ দেখেনি। অথচ বাংলাদেশের সমুদ্র ব্লকের পাশেই মিয়ানমার আরও আগেই খনিজ সম্পদ উত্তোলন শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু মাছ কিংবা খনিজ সম্পদ নয়, নিজেদের সীমানার সাগরকে ব্যবহার করে পাল্টে দেওয়া যেতে পারে বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতির চিত্র। সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন, জাহাজ শিল্প, গভীর সাগরে মাছ ধরার উপযোগী জাহাজ নির্মাণ, কনটেইনার, ওষুধ, প্রসাধনীসহ নানা শিল্প বিকশিত হতে পারে।

এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম সরকারি নীতি-নির্ধারকদের নীতি তৈরির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে বলেন এবং মৎস্য আহরণ ও জাহাজ শিল্পের সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য, তেল ও জ্বালানি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তারা অংশ নেন এবং মতামত দেন। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়