প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে হোটেল মোহছেন আউলিয়া হয়ে গেছে অসহায়দের সাপ্তাহিক মেহমানখানা। মেহমানের মতো করে চলছে অসহায় মানুষদের আদর-আপ্যায়ন। এ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয়রা।
শুক্রবার জুমআর নামাজের পর হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, গরিব-অসহায়, ছিন্নমূল, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন এসব মানুষের অনেকেই নিজের মতো করে খাবার খাচ্ছেন। কেউ হোটেলের ভেতরে আবার কেউ বাইরে বসে খাবার গ্রহণ করছেন আপন মনে। কমতি না আছে খাবারের, না আছে এসব মানুষদের আপ্যায়নের। হোটেল কর্তৃপক্ষের মানবিক এ আয়োজনে ছিন্নমূল মানুষের মুখে খুশির ফোয়ারা ফুটছে।
হোটেল মোহছেন আউলিয়ার পাশর্^বর্তী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত দু’বছর ধরে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর এখানে শত শত অসহায় মানুষ আসে। এসব মানুষ হোটেলে নিজেদের মতো করে খাবার খেয়ে আপন মনে ছুটে চলে নিজ গন্তব্যে। এ দেখে আমাদেরও ভালো লাগে। নিঃসন্দেহে হোটেল মোহছেন আউলিয়ার এটি একটি মহৎকাজ।
এদিকে দুঃস্থ অসহায়দের মুখে খাবার তুলে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করে হোটেল মোহছেন আউলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি শুক্রবার জুমআর নামাজের পর আমার এখানে যারা খেতে আসে, আমি মনে করি এরা আমার মেহমান। নিজের পরিবারের প্রয়াত সদস্য ও গুরুজনদের আত্মার শান্তির জন্য প্রতি শুক্রবার অসহায়দের এ মেহমানদারি করছি।