সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ভিজিএফের নকল কার্ড তৈরির অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

ফরিদগঞ্জে ভিজিএফের নকল কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের। এ ঘটনায় অভিযোগের তীর স্থানীয় ক’জন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় উক্ত ইউপির চেয়ারম্যান এসএম কাউছারুল আলম কামরুল নকল শতাধিক কার্ড জব্দ করেছেন। একই সাথে নকল কার্ডে চাল বিতরণের কারণে বঞ্চিত প্রকৃত কার্ডধারীদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে চাল ক্রয় করে বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কাউছারুল আলম।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ১ হাজার ৮শ’ ৪৩ জন কার্ডধারী ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার জন্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কাউছারুল আলম কামরুল নিজে কার্ড তৈরি করে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, ৮ জুলাই শুক্রবার দিনব্যাপি এ কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় কিছু নকল কার্ড ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে এ ধরনের প্রায় ১শ’ ৩০টি নকল কার্ড খুঁজে পান তিনি। যার অধিকাংশ চাল বিতরণ করা হয়।

বিতরণ পূর্বে জব্দকৃত কার্ড গ্রহিতাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান আলী ও মোঃ ফারুক হোসেন লিটন এসব কার্ড তাদের দিয়েছেন। নকল কার্ডধারী ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকেনের স্ত্রী ও ৮নং ওয়ার্ডের রোকেয়া বেগম জানান, এলাকার মেম্বারদের মাধ্যমে তারা কার্ড পেয়েছেন। এগুলো যে নকল কার্ড তা তাদের জানা ছিলো না।

ইউপি চেয়ারম্যান এসএম কাউছার আলম কামরুল জানান, নকল কার্ডের কারণে চাল কম হওয়ায় আমি নিজ উদ্যোগে ১ টন চাল ক্রয় করে শনিবার (৯ জুলাই) বাকি প্রকৃত কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণ করেছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন লিটন জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। অপর ইউপি সদস্য মোঃ হাসান আলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে ৯৫টি কার্ড দিয়েছেন। আমি সেগুলো বিলি করেছি। নকল কার্ড কারা করছে আমি জানি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়