শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের গ্রামে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥

ফরিদগঞ্জের ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের একদল সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করে দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম খান নামের একজন সচেতন ব্যক্তি।

অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর আলম ও পুলিশ সুপার বরাবরে তার প্রদত্ত অভিযোগের আলোকে জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষণকারীরা এলাকার প্রভাবশালী লোক এবং প্রভাবশালীদের উঠতি বয়সের ছেলে সন্তান এবং ধর্ষিতারা এলাকার গরিব-অসহায় সহজ সরল মনের মানুষ।

জাহাঙ্গীর আলম তার অভিযোগে বর্ণনা করেন, সুবিদপুরে এক মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাত ৯টায় ঘরের বাইরে যায়। এ সময় ওঁৎপেতে থাকা ধর্ষণকারীরা মেয়েটিকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু না বলতে ধর্ষিতাকে চাপ প্রয়োগ করে। ধর্ষিতা মেয়েটি ধর্ষণকারী প্রভাবশালীদের ভয়ের কারণে নিজের মধ্যেই ঘটনাটি চাপা রাখে। এরই মধ্যে ওই ধর্ষিতা মেয়েটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে ঘটনা এলাকায় প্রকাশ পায়। পরে বাড়ির মুরুব্বিরা অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে ধর্ষণকারীদের নাম বলার জন্যে চাপ প্রয়োগ করলে প্রথম ধর্ষণকারী হিসেবে এলাকার স্থানীয় মেম্বার ফজলুল হক পাটোয়ারী, দ্বিতীয় ধর্ষণকারী কুদ্দুস মুন্সি, তৃতীয় ধর্ষণকারী হালিম, চতুর্থ ধর্ষণকারী রিয়াদ মুন্সী ও পঞ্চম ধর্ষণকারী সিয়াম বলে জানায়। পরে ধর্ষণকারীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষিতা ও তার পিতাকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। চাঁদপুর শহরের অজ্ঞাত এক বাসায় রেখে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। ঘটনাটি চাপা পড়ে যাওয়ার জন্যে অদ্যাবধি ধর্ষিতাকে ধর্ষণকারীদের কবলে আটক করে রাখা হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন। জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, মেয়েটিকে পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরো ধর্ষণকারীর নাম প্রকাশ হবে।

জাহাঙ্গীর আলম খান এই প্রতিনিধিকে বলেন, এলাকার দুশ্চরিত্রবানদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি না দিলে এরা এলাকার সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফেলবে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বেও এই এলাকায় একাধিক আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর সঠিক কোনো বিচার না হওয়ায় এখন আবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার চান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়