শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ॥ নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট
এমরান হোসেন লিটন ॥

রমজানের প্রথম সেহেরীর রাতেই এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের আস্টা গ্রামের সাত্তার বাড়ির ডাক্তার হেলালের ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটোয়ারী ও সংবাদ কর্মীরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ডাকাতের দল ডাক্তার হেলালের ঘরের স্টিলের আলমিরা, শো-কেস, ব্রিফকেস ভেঙ্গে সব তছনছ করে রেখেছে। এ সময় ডাক্তার হেলালের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঘরে ছিলেন। হঠাৎ রাত তিনটার দিকে টিনশেড বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ পাশের দরজা দিয়ে পুলিশের পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে এবং আমরা দরজা খুললে সাথে সাথে পাঁচ থেকে ছয়জন ঘরে ঢুকে যায়। তখন তারা ডাক্তার হেলাল ও স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ডাকাত দল বেঁধে ফেলে। হাত-পা বেঁধে মুখোশ পরা ডাকাতরা বিভিন্ন রকম অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাত দল স্টিলের আলমিরা ও শোকেসের চাবি নিয়ে যায়। পরে এক এক করে স্টিলের ৬টা আলমিরা তিনটা শোকেস, ৭টি ব্রিফকেস সব ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে। এগুলোর ভেতরে থাকা বিভিন্ন আইটেমের ৩৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ প্রায় দুই লাখ টাকা, একটা আইফোনসহ মোট ৯টি মোবাইল সেট, তিনটা টর্চলাইট, দামি কাপড়, বিভিন্ন রকম কসমেটিক সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পূর্ব পাশের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।

ডাক্তার হেলালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চার মেয়ে, কোনো ছেলে নেই। মেয়েদের বিয়ে দিয়ে ফেলেছি। মেয়েদের স্বর্ণের জিনিসসহ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব তার বাড়িতেই থাকতো। ডাকাতের দল আমাদের বেঁধে উল্লেখিত জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসব জিনিসপত্র নিয়ে যাবার সময় ডাকাত দল বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে গেছে, যেনো কোনো রকম বাড়াবাড়ি না করি।

ডাকাতির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটোয়ারী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়