শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশমুখে অহরহ যানজট
বিমল চৌধুরী ॥

মানুষের সুচিকিৎসার প্রয়োজনে দিন দিন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালটি আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে চিকিৎসকদের তার অধিকসংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা। রোগীদেরকে হাসপাতালের নির্দিষ্ট সংখ্যক বেডে রেখে চিকিৎসা দিতে না পারলে চিকিৎসকগণ অনেকটা নিরূপায় হয়েই হাসপাতালের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিতে পিছপা হন না। তদুপরি পূর্বের চেয়ে বর্তমানে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির আন্তরিকতায় হাসপাতালের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

প্রতিদিনই শহরবাসীসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী, পুরুষ, শিশু ভিড় করছেন হাসপাতাল চত্বরে। অনেক সময় তাদেরকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখা দেয় বিড়ম্বনা। দেখা যায় হাসপাতালের একমাত্র প্রবেশমুখে ব্যাপক যানজট। সহজে প্যাসেঞ্জার বা ভাড়া পাওয়ার আশায় সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে থাকে প্রবেশমুখে। তার ওপর রয়েছে হাসপাতালের সম্মুখস্থ কবি নজরুল সড়কে চলমান যানবাহনের ব্যস্ততা। এতোকিছু সাবধানতার সাথে এড়িয়ে খুব সন্তর্পণে রোগী বা তাদের সাথে থাকা লোকজনকে প্রবেশ করতে হয় হাসপাতাল চত্বরে। তারপর অনেক সময়ই দেখা যায় হাসপাতালের বাইরের ব্যস্ততম সড়কের অর্ধেক অংশ জুড়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে অ্যাম্বুলেন্স। ফলে রাস্তার প্রশস্ততা কমে গিয়ে যান চলাচলে দেখা দেয় বিড়ম্বনা। এতে চালকদের হিমশিম খেতে হয়।

ইদানীংকালে চাঁদপুর শহরের সব ক’টি রাস্তাই যানজটের কবলে নিমর্জিত। যানজট নিরসনে পৌর মেয়রসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বার বার চেষ্টা করেও নিরসনে ভালো কিছু অর্জন করতে পেরেছেন বলে তা জোর গলায় বলা যাবে বলে মনে হয় না। দিন যতো পার হচ্ছে শহরে যানজটও ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দু বছরেও এতোটা যানজট দেখা যায়নি বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। কিন্তু জেনারেল হাসপাতালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রোগীসহ অন্যদের প্রবেশমুখে যানজট নিরসনে তারা পৌর কর্তৃপক্ষসহ হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান জানান, হাসপাতালের প্রবেশমুখে একজন লোক রয়েছে, যিনি প্রবেশমুখের যানজট নিরসনে কাজ করছেন। তবে অনেক সময় হয়তো ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। আমাদের তেমন জনবল নেই। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেক কিছু করতে পারছি না। তবে আমার চেষ্টা রয়েছে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে। তিনি হাসপাতালের প্রবেশমুখের যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এ কাজে কোনো ট্রাফিক পুলিশ বা কোনো গার্ডকে নিয়োজিত করা যায় কি না সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়