শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২২, ০০:০০

যে কোনো উপায়ে পুরাতন মামলাগুলো স্বল্প সময়ে শেষ করতে হবে
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে পুরাতন দেওয়ানী ও ফৌজধারী মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত নিষ্পত্তি বিষয়ে চাঁদপুরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট ঢাকার বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা।

চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে সভায় অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান। চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ কামালউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট সহকারী রেজিস্ট্রার (সিনিয়র সহকারী জজ) মিটফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যে কোনো উপায়ে পুরাতন মামলাগুলো স্বল্পসময়ে শেষ করতে হবে। মানুষ যেনো স্বল্পসময়ে ন্যায় বিচার পায় সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। যে কোনো উপায়েই হোক মানুষ যেনো ন্যায় বিচার পায় ও স্বল্প সময়ের মধ্যে পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো মানুষ যেনো স্বল্প সময়ের মধ্যে ন্যায় বিচার পায়। এখন সেই সময় চলে এসেছে। আমাকে মাননীয় প্রধান বিচারপতি চট্টগ্রাম বিভাগে পাঠিয়েছেন পুরাতন মামলাগুলো যেনো দ্রুত শেষ করা যায়। বিশেষ করে সিভিল কোর্টের মামলাগুলো যেনো দ্রুত শেষ করা যায় এজন্যেই আমার এখানে আসা।

তিনি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো যেনো অন্যান্য ট্রাইব্যুনালে বদলি করা যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোর্টের কিছু সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে আলোচনা করা হবে। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিচারকদের কাজের ক্ষেত্রে আপনারা সহযোগিতা করবেন। আমি এখানে ১৭ বছর পরও এসে অভিভূত হয়েছি। আপনারা এখনও আমাকে মনে রেখেছেন। রায়ের গুণগত মান উন্নয়ন করতে হলে আইনজীবীদের পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা করলে আইনজীবীদের পাশাপাশি জজ সাহেবদেরও জ্ঞান বাড়বে। নতুন আইনজীবীদেরকে যদি নিয়মিত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তারা অনেক ভালো করবে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, অ্যাডঃ আজহারুল ইসলাম, অ্যাডঃ আহসান হাবিব, অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, অ্যাডঃ ইব্রাহীম খলিল, অ্যাডঃ শেখ আবুল খায়ের সালেহ, অ্যাডঃ আব্দুর রহমান, অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, অ্যাডঃ হেদায়েত উল্লাহ, অ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও অ্যাডঃ জসিম পাটওয়ারী।

আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শহিদুল্লাহ, আবুল কাশেম, রুহল আমিন সরকার, নাইমুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, শহিদুল্লাহ পাটওয়ারী, সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, কোহিনুর রশিদ, রুমানা আফরোজ, দুলাল মিয়া পাটওয়ারী, নওশেদ আহমেদ, গাজী দুলাল, মাইনুল আহসান, মাইনুল ইসলাম, গোলাম কায়সার শামিম, নিবাস সরকার, খোরশেদ আলম শাওন, দেবাশীষ কর মধু, ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম, ইমাম হোসেন টিটু, নাদিম তালুকদার, শাহাদাত সরকার শাওন, সাফায়েত ইসলাম, তাসলিমা বেগম, কামরুল ইসলাম রোমানসহ আইনজীবীগণ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়