প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে অবৈধ ড্রেজিং ও বালু বিক্রি বন্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনকারী ৩টি ড্রেজার ও ৮টি বালু বহনকারী বাল্কহেড জব্দ এবং ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের নির্দেশে সদর এসি (ল্যান্ড) মোঃ হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন সিকদার, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ মিলন মোল্লা রাজরাজেশ্বর, কোড়ালিয়া চর ও সফরমালী এলাকায় এ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন।
নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সকাল ৮টা থেকে অভিযান শুরু হয়। যেসব ড্রেজার ও বাল্কহেডের রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো জব্দ করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসি (ল্যান্ড) হেলাল চৌধুরী জানান, হাইকোর্টে ড্রেজিং করার আবেদন ছিলো। কিন্তু বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার কোনো আদেশ নেই। আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি বন্ধে এ অভিযান পরিচালনা করছি । তিনি জানান, আটক ২১জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হয়েছে। ২১ জনের মধ্যে ৬ জনকে তিন মাসের এবং বাকি ১৫ জনকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। আর জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড চাঁদপুর নৌ পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
এসি (ল্যান্ড) হেলাল চৌধুরী বলেন, এখনও অভিযান শেষ হয়নি। যেসব অবৈধ নৌযান জব্দ করা হবে, সেগুলো নৌ পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। নৌ-পুলিশকে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা এ অভিযান অব্যাহত রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরের মেঘনায় মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজ ও বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
যদিও এই ড্রেজিং কার্যক্রম যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং নিয়ম মেনে তারা করছেন বলে দাবি করেছেন। গত সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সভায় পদ্মা মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধসহ ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দের সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি অভিযানকালে সংশ্লিষ্টদের আটকের নির্দেশ দেয়া হয়। সে আদেশ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছলে বৃহস্পতিবার নদীতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে প্রশাসন। আগের দিন এ বিষয়টি বালু উত্তোলনকারীদের সতর্ক করে নদী এলাকায় এবং গতকাল চাঁদপুর শহরে জেলা প্রশাসনের নামে মাইকিং করা হয়।