প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০
হাইমচরে আগুনের লেলিহান শিখায় শত শত লোকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ উপজেলার চরভৈরবী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে ২টি বসত ঘরসহ বাজারের ৭০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অগ্নিকা-ের ঘটনায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকা-ের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সান্ত¡না দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানীয়া।
২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় চরভৈরবী বাজারের ইসলামিয়া হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে চাঁদপুর ও রায়পুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট দুঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-পরিচালক শাহিন আলম অগ্নিকা-ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চরভৈরবী ইউনিয়নের নদীর পাড় মাছঘাট সংলগ্ন বাজারে আগুন লেগে প্রায় ৭০টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এতে তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে বিনষ্ট হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দোকানে প্রচুর মাল তোলা হয়েছিল। আগুনে পুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ফাহিমা আক্তার বিনা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিল তিল করে জমানো একমাত্র সম্বল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আছে ব্যাংকের লোন, এখন সংসার কী করে চলবে-এটা ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার ভাই সৈয়দ আহমেদের কসমেটিক্স ও মোবাইলের দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। আমাদের ৩টি দোকানে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার যদি আমাদেরকে সহযোগিতা না করে, সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানীয়া বলেন, ভোর সাড়ে ৫টায় হঠাৎ চরভৈরবী বাজারে আগুন লেগে বাজারের ৭০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। আমরা ধারণা করছি, এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ব্যবসায়ীর পথে বসার উপক্রম হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্যে সহযোগিতা কামনা করছি।