প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২২, ০০:০০
বিশ্ব শান্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনাসহ শ্রীশ্রী শ্মশান কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে চাঁদপুর মহাশ্মশান মন্দির কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছে ব্যাপক ধর্মীয় অনুষ্ঠান। প্রচুর ভক্ত উপস্থিতি ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে গত ২২ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অধিবাস পূজার মধ্যে দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হয়। গতকাল ২৩ মার্চ বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী ব্যাপক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে বিকেল ৫ টায় গঙ্গা আবাহন ও অধিবাস পূজার মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় ১৬ প্রহর হরিনাম কীর্তনের শুভ সূচনা হয়। কাল ২৫ মার্চ শুক্রবার দুপুর ১২টায় কীর্তন চলাকালীনই অনুষ্ঠিত হবে ভোগারতি ও মহোৎসব অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় হরিনাম কীর্তনের সমাপ্তি। হরিনাম কীর্তন পরিবেশন করবেন শ্রী শ্রী আদি নারায়ণ সম্প্রদায় (পটুয়াখালী), শ্রীশ্রী ভক্ত প্রহল্লাদ সম্প্রদায় (বরিশাল), শ্রীশ্রী জয় জগবন্ধু সম্প্রদায় (বরগুনা), শ্রীশ্রী তুলশী নারায়ণ সেবা সংঘ (ঢাকা), শ্রীশ্রী বলদেব সংঘ (চাঁদপুর), শ্রীশ্রী রায় রামানন্দ সম্প্রদায় (বরিশাল)। ২৬ মার্চ শনিবার দুপুরে শহরের কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রীশ্রী শীতলা মায়ের পূজা ও রাত ৯টায় চাঁদপুর মহাশ্মশান মন্দির কমপ্লেক্স অঙ্গনে চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে বার্ষিক মহাশ্মশান কালী পূজা।
আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিনম্র চিত্তে সকলের একান্ত উপস্থিতি কামনা করেছেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক। তিনি বলেন, কোনো এক সময় চাঁদপুর মহাশ্মশানে মানুষজন আসতে ভয় পেতো, কিন্তু বর্তমান সময়ে আর সেই পরিস্থিতি নেই। ভক্ত হৃদয়ের একান্ত সহযোগিতায় চাঁদপুর মহাশ্মশানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মহাশ্মশানটি এখন চাঁদপুর মহাশ্মশান মন্দির কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত হয়েছে, রূপান্তরিত হয়েছে মহাতীর্থস্থানে। এখন শুধু শবদাহ করার জন্যই মানুষজন এখানে আসেন না। প্রতিদিনই দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শ্মশান মন্দির কমপ্লেক্সে ভক্তবৃন্দ আসেন। তারা পূজা-অর্চনাসহ তাদের প্রয়াত আত্মীয়-স্বজনের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন। ভক্তদের ব্যাপক আগমনে চাঁদপুর মহাশ্মশান এখন মহাপুণ্য স্থানে পরিণত হচ্ছে। আর তা সম্ভব হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনাবাহী চাঁদপুরবাসীর সহযোগিতার কারণে। চাঁদপুর মহাশ্মশানের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ অনাথ আশ্রম নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি তা নির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, শ্মশান বা কবর পবিত্র স্থান। ধনী-গরীব সকলকেই এ স্থানে সময়ভেদে আসতে হবে। তাই এ সকল স্থানের উন্নয়ন সকলেরই কাম্য হওয়া উচিত।