শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২১, ১১:৪৬

মতলবের নাছির উদ্দিনের বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ

১ হাজার খুঁটিতে ৫ হাজার গাছ ॥ লাভের স্বপ্ন কোটি কোটি টাকার

মাহবুব আলম লাভলু
১ হাজার খুঁটিতে ৫ হাজার গাছ ॥ লাভের স্বপ্ন কোটি কোটি টাকার

মতলব উত্তর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুস্বাদু ড্রাগন ফল। এ উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ড্রাগন ফলের বাগান। বাড়ছে বাগানের পরিসর। ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের নাছির উদ্দীন সরকার। তিনি

একজন শিল্পপতি ও সুফী সাধক। নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন ভিয়েতনামের ড্রাগন ফলের বাগান। দীর্ঘদিনের ইচ্ছা শক্তি থেকেই তিনি প্রায় দেড় বছর আগে ২ একর জমির ওপর এই ফলের বাগান তৈরি করেন। তার বাগানে সারি সারি ড্রাগন ফলের গাছ শোভা পাচ্ছে। বাগানে ১ হাজার খুঁটির মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার গাছ।

নাছির উদ্দিন সরকার বলেন, এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ভেষজ ফল। এই ফল এখন অত্যন্ত লাভজনক ফসলে পরিণত হয়েছে। আমার এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন লোকজন আসে ড্রাগন ফলের বাগান দেখতে।

নাছির উদ্দিন সরকার জানান, ড্রাগন ফলের গাছ মূলত কা- থেকে হয়। এই ফল চাষ করার জন্যে অতিরিক্ত কোনো রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র জৈব সারই যথেষ্ট। গাছ লাগানোর প্রায় ছয় মাস থেকে ১ বছর পর ফল আসতে শুরু করে এবং ফলের বয়স ২৮-৩০ দিন হলে খাওয়ার উপযোগী হয়। আমি দেড় বছর আগে চারা লাগিয়েছি। এখন ফল ধরে পেকে গেছে। বিক্রিও শুরু করেছি। ঢাকা কাওরান বাজারে পাইকারী ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। তাছাড়া এলাকার লোকজনও কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকার মত। বিক্রি হয়েছে ১ লাখ টাকার মতো। এ বছরই ১৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা আছে। গাছের কা- কেটে বিক্রি করা যায় এবং গাছগুলো থেকে প্রায় ২০ বছর ফল পাওয়া যায়। ফলে কয়েক কোটি টাকা লাভ করা সম্ভব হবে।

এই ড্রাগন চাষেই নিজে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি নিজের উপজেলায় ড্রাগন চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখতে চান নাছির উদ্দীন সরকার।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, ‘অন্য ফসলের তুলনায় ড্রাগন চাষ লাভজনক। চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। নাছির উদ্দীন সরকারের বাগানে ১৪ মাসে ফল এসেছে। তিনি এখানে প্রথম এই ড্রাগন চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হবেন। তাছাড়া পুষ্টিগুণ, আকার-আকৃতি ও দামের কারণে বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্যাকটাস জাতীয় গাছ হওয়ায় রোগ বালাইও কম। তাই চাষিরা সহজে এই ফল চাষ করতে পারে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বিদেশি ড্রাগন ফলের বাগান। খরচ কম অধিক লাভজন ফল হওয়ায় ড্রাগন চাষে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। কৃষক এবং যুবক এই ড্রাগন ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। আর বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়