রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

আজ সাবেক মন্ত্রী নুরুল হুদার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী

মতলব উত্তর ব্যুরো ॥
আজ সাবেক মন্ত্রী নুরুল হুদার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে ৪ বারের সংসদ সদস্য, সাবেক তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হুদার আজ ২৫ জানুয়ারি ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী।

তাঁর এই মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকায় ব্যাপক কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়িতে কোরআন খতম, মিলাদণ্ডদোয়া ও কবর জেয়ারতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে জ্যেষ্ঠপুত্র চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, বাবার শূন্যতায় শুধু আমাদের পরিবারে নয়, মতলবের রাজনৈতিক মাঠেও একটা বড় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বাবার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। আমার বাবা নূরুল হুদা সাহেব আজ থেকে ৭ বছর আগে আজকের এইদিনে (২৫ জানুয়ারি) আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলআমিনের ডাকে। কিন্তু ৭ বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ বাবার স্মৃতি, বাবার ভালোবাসা, বাবার শূন্যতা তাড়া করে বেড়ায় আমার পুরো পরিবারকে। ওহ, শুধু আমার পরিবারকে কেন হবে? মরহুম নূরুল হুদা সাহেবের স্মৃতি, ভালোবাসা ও শূন্যতা আজ উপলব্ধি করছে মতলবের হাজার হাজার জাতীয়তাবাদী নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ। এরাও তো ছিল আমাদের পরিবারের একান্ত সদস্য। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার আমার বাবা ঘরে বাইরে অন্যায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। রাজনীতিতে এটা অবশ্য খুবই স্বাভাবিক। তবে আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে এবং মতলবের সাধারণ মানুষের দোয়ায় প্রতিবার তিনি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ধানের শীষের নেতৃত্ব এই মতলবে ধরে রেখেছিলেন।

তানভীর হুদা বলেন, মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে বাবা মাঝে মধ্যেই আমাকে বলতেন, আমি যেদিন থাকবো না, তখন মতলবের মানুষ বুঝতে পারবে কত সংগ্রামের মধ্যে আমি এই দলটাকে সংগঠিত করে রেখেছি। আজকে মতলবের বিএনপি বহুধারায় বিভক্ত। তৃণমূলের কর্মীরা যাদের কাঁধে ভর করে আমরা নেতা হই, তারা আজ দিশেহারা, হতাশ। মনোনয়নের লোভে আজ এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে অত্যন্ত অশালীন ও আপত্তিকর উপায়ে আক্রমণে ব্যস্ত। কমিটি নামক কাগজে সিল মোহর লাগাতে পারলেই আমরা বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা হচ্ছি। এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে ঘায়েল করতে পারাটাই যেন আজ রাজনীতির মূল লক্ষ্য। এর মাঝে আমরা ভুলেই গেছি যে, আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার সব শূন্য। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী, আমাদের নেতা তারেক রহমান মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাাপ্ত হয়ে আমাদের থেকে অনেক দূরে।

উল্লেখ্য, মোঃ নুরুল হুদা ১৯৫৪ সালে স্কুলে পড়ার সময় রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি বৃহত্তর কুমিল্লায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৮ বছর বয়সে সরকারি চাকুরি (সহকারী কমিশনার) ছেড়ে চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছরেরই ৪ এপ্রিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এ আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের প্রথম ৬ মাস তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তী ২ বছর সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

মোঃ নুরুল হুদা বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটিতে এক সময়ের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা। তাঁর বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার বাগানবাড়ি ইউনিয়নের খন্দকারকান্দীতে। ২ সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা ড্যাফোডিল ইউনির্ভার্সিটিতে শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। ছোট ছেলে সানভীর হুদা আমেরিকার একটি ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেন। বড় ছেলে তানভীর হুদা সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ নির্বাচনী আসনে প্রাথমিক ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছিলেন। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সকল আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন সফল করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৭টা ২৫মিনিটের দিকে নুরুল হুদা আমেরিকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না নিল্লাহ...রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৭০ বছর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়