প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর পৌরসভার টিএলসিসি সভায় মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল
চাঁদপুর পৌরসভা পঁচিশ শহর প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, শত কোটি টাকা বরাদ্দ পাবো
তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটির (টিএলসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ মে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শামসুদ্দোহা, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে নাগরিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন টিএলসিসির সদস্য রোটাঃ কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়িকা অধ্যাপিকা মাসুদা নুর খান ও ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার আব্দুল হান্নান। উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর আত্মনিবেদিতা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডাঃ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রূপালী চম্পক, চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইয়াছিন প্রমুখ।
পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজউদ্দিন হাওলদারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ডাকাতিয়া ক্লাস্টারের ক্যাশিয়ার শিল্পী ঘোষ, সদস্য বিলকিস আক্তার প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। এরপর মেয়র জনগণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, বর্তমান পৌর পরিষদ বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছে। তবে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। গত আড়াই বছরে প্রায় ২৫ কোটি টাকার মতো পৌরসভার নিজস্ব ফান্ড থেকে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে, যা বিগত সময়ের চেয়ে রেকর্ড। দৃশ্যমান নগর উন্নয়নে আমাদের মনোযোগ রয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর ছোট্ট শহর, সড়ক প্রশস্তকরণই আমাদের মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যে অনেকগুলো সড়ক চিহ্নিত করে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু করাও হয়েছে। তার মধ্যে বাবুরহাট চৌরাস্তা, মিশন রোডের মোড়, চিত্রলেখা মোড়, নতুন বাজার মোড়, শপথ চত্বর, পুরাণবাজার লোহারপুল ও মধুসূদন স্কুল চত্বর উল্লেখযোগ্য।
নাগরিকদের আশ্বস্ত করে পৌর মেয়র বলেন, চাঁদপুর পৌরসভা ২৫ শহর উন্নয়ন প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই প্রজেক্টের আওতায় আমরা প্রায় ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবো। আশা রাখি রাস্তা প্রশস্তকরণ, ১৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, শহরবাসীর হাঁটাচলার সুবিধার্থে ফুটপাত তৈরিসহ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে আমরা অনেকগুলো কাজ করতে পারবো। গেলো আড়াই বছর দীর্ঘ একটা সময় নয়। সামনের বছরগুলোতে নান্দনিক শহরের অনেক কিছুই শহরবাসীর কাছে দৃশ্যমান হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে মৈশাদী পর্যন্ত ৩২ ফুট প্রশস্ত বিকল্প রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২৪ ফুটের রাস্তাও হবে। ইতিমধ্যে প্রজেক্ট জমা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ এই প্রজেক্টেরও টাকা পেয়ে যাবো।
মেয়র বলেন, প্রাক-বাজেট পূর্ব টিএলসিসির এই সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুন মাসের শেষদিকে আমরা পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের নতুন বাজেট পেশ করবো। সেই বাজেট হবে বাস্তবমুখী বাজেট।