প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ২০:৪৮
শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী খিজির হায়দারের আহবান
আসন্ন শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী মোঃ খিজির হায়দার ভোট বিহীন কোন ব্যক্তির নাম ঘোষণা না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
|আরো খবর
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বিবৃতিতে তিনি আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নিজেকে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।তিনি বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেন, কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের জন্য সকলকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি এবং ভোট বিহীন কোন ব্যক্তির নাম ঘোষণা না করার জন্যও অনুরোধ করছি। প্রার্থীদের মধ্যে বিগত
৪০/৫০ বৎসর যাবৎ দলের জন্য আর্থিক, মানসিক, শারীরিক এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাদের অবদান ও ত্যাগ রয়েছে, তাদের মধ্যে যদি আমার থেকে কেউ বেশি অবদান রেখে থাকে, তাহলে আমি নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেব। উল্লেখ্য, কোন ব্যক্তির একক পছন্দের কারো নাম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যেন ঘোষণা করা না হয়, সে জন্য সকলকে আবারও অনুরোধ করছি। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে দলের কর্মীদের সুখে ও দুর্দিনে যাদের
অবদান ছিল এবং থাকবে, তাদের মধ্যে যদি কারো নাম ঘোষণা করা হয়, আমার আপত্তি থাকবে না।
দলের জন্য তাঁর ত্যাগের কিছু বিষয় উল্লেখপূর্বক তিনি জানান, দলের কর্মীদের দুর্দিনে অর্থাৎ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তাদের অত্যাচারে বহু নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে
ঢাকায় চলে আসে। সেদিন কোন ব্যক্তি তাদের পাশে দাঁড়ায় নাই এবং কোন আশ্রয়ও দেয় নাই। আমি একমাত্র ব্যক্তি শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ ও কচুয়ার বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ঢাকা শহরে মাসের পর মাস ঠাটারি বাজারস্থ হোটেল স্টার ও
জয়কালী মন্দিরস্থ হোটেল সুপার এলাকায় প্রতিদিন ১৫/২০ টি রুম ভাড়া করে মাসের পর মাস নিজ অর্থে সেসকল নেতাকর্মীর থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করেছি। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলে সামরিক বাহিনী কর্তৃক চট্টগ্রামে আমাকে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামলীলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক দানু ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি মানিক দাদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমাকে ও এনামুল হক দানুকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে এক
অমানসিক নির্যাতন করা হয়। শরীরে আজও চাবুকের দাগ, জলন্ত সিগারেটের দাগ বিদ্যমান। দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে বহুদিন কারাগারে থাকতে হয়েছে। নিজের উপার্জিত অর্থ ও পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা
ব্যয় করে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আসছি। আদৌ নিজ অর্থ ব্যয় করে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর অথবা বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি বলতে পারবে না, দলের দোহাই দিয়ে একটি কানা-কড়ি উপার্জন করেছি। ২৮ নভেম্বর
কাউন্সিলরগণ ও উপস্থিত আওয়ামী পরিবারের ব্যক্তিবর্গকে জিজ্ঞাসা করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। এরপরও যদি ব্যক্তি বিশেষের পছন্দের ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয়। তাহলে বুঝে নেব, আমাদের জন্য এক অশনী সংকেত।