প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০
রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদে মুসল্লিদের ঢল
পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমা শুক্রবার (১৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়েছে । রহমতের দশকের চতুর্থ রোজায় পড়েছে বরকতময় এ জুমা। দিনটির বিশেষ গুরুত্ব কোরআন হাদিসে এসেছে।
রমজানের প্রথম জুমায় সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের প্রতিটি জুম্মা মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। শহরের প্রায় সব মসজিদে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি মুসল্লিদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কোথাও-কোথাও মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সংকুলান না হওয়ায় বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।
শুক্রবার সাড়ে বারোটায় জুমার নামাজের আজান হলে এরপর থেকে মুসল্লিরা মসজিদে আসা শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকেই ভরে ওঠে মসজিদের মূল ভবন। প্রতিটি মসজিদে রমজানের প্রথম জুমা উপলক্ষে বিশেষ বয়ান করা হয়।
চাঁদপুর জেলা শহরের সবচেয়ে বড় মসজিদ পুরান বাজার ঐতিহাসিক জামে মসজিদ। এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সি মানুষ এসে স্থানীয় মুসল্লীদের সাথে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি ইব্রাহিম খলিল খুতবায় রমজানের আমলের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
জুমার নামাজের পর মোনাজাতে কান্নায় মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। পুরো রমজান মাস নেক আমল ও রোজা রাখার তৌফিকের জন্য দোয়া করেন। এ সময় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের রক্ষায় আল্লাহর কুদরতি রহমত কামনা করা হয়।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমা, (৬২), আয়াত, ৯-১০)
বিভিন্ন হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।