শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০২:২৫

ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা বাজার নানা সমস্যায় জর্জরিত

সোহাঈদ খান জিয়া
ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা বাজার নানা সমস্যায় জর্জরিত

ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রসিদ্ধ একটি বাজার চান্দ্রা। ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের নিকটে এ চান্দ্রা বাজারের অবস্থান । দিন দিন বাজারে দোকান পাট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারটি গুরুত্বপূর্ণ হলে ও নানা সমস্যায় জর্জরিত।বাজারের প্রতিটি গলির ফুটপাত কাঁচামালের দোকান, বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মালামালের দোকানের দখলে রয়েছে। ফুটপাত নোংরা আবর্জনায় সয়লাব হয়ে পড়ে থাকে। ফলে ক্রেতা সাধারণ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষজন চলাচলের সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে । বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে বাজারে চলাচলের রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ময়লা আবর্জনার মধ্যে পানি জমে কাদা কদমাক্ত হয়ে থাকে। বাজারের কয়েকটি গলিতে ছাউনির মত পলিথিন কাগজ টাঙ্গিয়ে রেখে বাজারের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। প্রায় সময় বাজারের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পিকআপ ভ্যান ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে মানুষজনের চলাচলসহ মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি করা হয়। বাজারের প্রত্যেকটি গলিতে বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসিয়ে বেচাকেনা করে থাকে। এর মধ্যে কাঁচা মালামাল, পাইকারী ব্যবসায়ীদের চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনের লরিসহ ছোট ছোট যানবাহন বাজারে প্রবেশ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। আর এসব কারণে বাজারে আগত নারী ক্রেতাসহ মুমূর্ষু রোগী ও পথচারী জনসাধারণের চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীদের মালামাল বিভিন্ন গাড়ি থেকে লোড আনলোড করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় গলির মাঝে গাড়ি রেখে মালামাল গাড়ি থেকে দোকানে নেওয়া হয়।

বাজারে মাছ ও মাংস বিক্রির নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। মাংস ব্যবসায়ীরা বাজারের ইজারাদারদের সাথে যোগসাজশ করে যখন যেখানে মন চায় সেখানেই বসে মাংস বিক্রি করে। মাছ বেচাকেনার স্থান একেবারেই অপ্রতুল।বাজারের পানি নিষ্কাশনে ড্রেন থাকলেও পরিষ্কার না করার কারণে সামাণ্য বৃষ্টি হলে বিভিন্ন জায়গায় পানি আটকে থাকে। যার ফলে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা দূর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়।একটি প্রসিদ্ধ বাজার হওয়া সত্ত্বেও এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন নেই। মশা-মাছির উড়ে খাদ্য সামগ্রীর উপর গিয়ে বসে।তরকারির বাজার গুলো দোকানের সামনে গলির উপর বসার কারণে একটি রিক্সা বাজারের ভেতরে প্রবেশ করতে কষ্ট হয়। বাজারের মধ্যে কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করে আগুন নেবাতে পারবে না।এতে দোকান পাট অগ্নিকান্ডে পুড়ে ব্যবসায়ীদের নিঃস্ব করে দিবে।বাজারট প্রতিদিন হাজার হাজার নারী পুরুষ আসে বাজার করার জন্য। কিন্তু বাজারের নোংরা পরিবেশ ও চলাচলে বিগ্ন ঘটায় অনেক ক্রেতা মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাজারে একটি টয়লেট নেই।

বাজার ইজারাদার অনিয়ম ভাবে খাজনা আদায় করে থাকে।বাজারে কোনো পাহাড়াদার না থাকায় ব্যবসায়ীরা রাতের বেলা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়ে থাকেন আতংকে। কখন দোকান চুরি হয়ে যায়।বাজারটি একটি প্রশিদ্ব বাজার হওয়ার পড়ে ও বাজারটিতে নেই বাজার কমিটি।বাজার কমিটি ছাড়া চলে আসছে প্রায় ১৪/১৫ বছর ধরে। বাজারটি নানা সমস্যার মধ্যে চলে আসলে ও সমস্যা সমাধানে কাউকে আসতে দেখা যায় না।এব্যাপারে বাজারে আগত ক জন ক্রেতা জানান, আগে বাজারে রিক্সা নিয়ে অনায়াসে প্রবেশ করা যেতো। এখন ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ার কারণে হেটে চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ক জন ব্যবসায়ী বলেন, আগে আমরা মালামাল নিয়ে সরাসরি গাড়িতে করে দোকানের সামনে নিয়ে আসতাম। এখন ফুটপাত দখল করে ফেলায় মালামাল কেরিং করে দোকানে আনতে হয়। ফুটপাত দখল হওয়ার কারণে অনেক ক্রেতা আসতে চায় না। বাজারের সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আমরা কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়