প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৬
চান্দ্রা বাজারে খাজনার ফ্রিস্টাইল-রূপ কেন?

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় সিঙ্গেল কলামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার শিরোনাম হয়েছে ‘চান্দ্রা বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায়’। ছোট্ট এই সংবাদটি পড়ে রীতিমত অবাক হয়ে অনেককে বলতে হয়েছে, এই বাজারে দেখছি খাজনা আদায়ের কোনো নিয়ম-নীতি নেই। এক্ষেত্রে চলছে যেন ফ্রিস্টাইল রূপ।
সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রসিদ্ধ চান্দ্রা বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ বাজারটি সুনামের সাথে চলে আসছে। বাজারের চার পাশের লোকজনসহ চাঁদপুর সদর উপজেলার একটি অংশের লোকজন এই বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন। কিন্তু বাজারে গলাকাটা খাজনা আদায় করা হয়। ১ হাজার টাকার হাঁস ও মুরগী বিক্রি করা হলে ইজারাদারকে দিতে হয় ১ শ’ টাকা। ৬ হাজার টাকায় ছাগল বিক্রি করলে ১২০০-১৫০০ টাকা দিতে হয়। এভাবে প্রত্যেক জিনিসের ওপর অতিরিক্ত টাকা খাজনা আদায় করা হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ২০২৫) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরে সুজন হোসেন নামের এক বিক্রেতা ১২ শ’ টাকার মুরগী বিক্রি করলে ১২০ টাকা তার নিকট হতে খাজনা আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে জনৈক গফুর মিজি বলেন, বাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়। কেউ কিছু বললে ইজারাদার খারাপ আচরণ করে থাকে। এমনকি মারার জন্যে তেড়ে আসে। এসব কারণে বাজারের সুনাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সংবাদটিতে খাজনা আদায়কারী ইজারাদার ও ইজারা প্রদানকারী উপজেলা প্রশাসনের কারো কোনো বক্তব্য নেই বলে সংবাদটিকে দুর্বল মনে হয়। কিন্তু ১২০০ টাকার মুরগী বিক্রি করে সুজন হোসেন নামের একজন বিক্রেতার ১০ শতাংশ হারে ১২০ টাকা খাজনা প্রদানের ঘটনাটি এই বাজারের ইজারাদারের খাজনা আদায়ের ফ্রিস্টাইল রূপকে প্রকটভাবে প্রকাশ করে। আমরা এ ব্যাপারে ইজারাদারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এই বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়কে দখলদারিত্ব সহ নানা রূপ বিশৃঙ্খলা নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠে বহুবার লিখা হয়েছে। কিন্তু প্রতিকারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়নি। বিষয়টি উদ্বেগের। আমরা প্রসিদ্ধ বাজারটির সুনাম পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাগ্রহণে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।