প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১
রূট পারমিট ব্যতীত দিনের পর দিন চলছে আনন্দ বাস
যাত্রীবাহী আনন্দ বাস বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিয়ে চাঁদপুরে প্রবেশ করে থাকে। সকল দপ্তরের চাঁদার টাকা প্রতিদিন পরিশোধ করে চাঁদপুরে প্রবেশ করতে হয়। চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী আনন্দ বাস চলাচল করে। নির্ধারিত সময়ে বাসগুলো চাঁদপুর বাস স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এ রুটে প্রতিদিন ৩০টির মতো বাস চলাচল করে থাকে। একটা বাস দুবার আপ-ডাউন করে থাকে। যার বিনিময়ে এ রুটে চলাচল করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বাস প্রতি টাকা গুনতে হয়। আর এসব বাস চাঁদপুরে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি না থাকলেও চাঁদার বিনিময়ে প্রবেশ করছে। এসব বাসের অধিকাংশই চাঁদপুরে প্রবেশ করার জন্য রুট পারমিট নেই। কিন্তু শ্রমিক নেতা, মালিক সমিতি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এরা চাঁদপুর প্রবেশ করে।
|আরো খবর
এসব চাঁদার টাকা শ্রমিক নেতা, মালিক সমিতি ও প্রশাসন নিয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রতি গাড়ি ১৭০ টাকা চাঁদপুরে দিতে হয়। এ টাকা থেকে ৩০ টাকা পৌরসভা পেয়ে থাকে। বাকি ১৫০ টাকা শ্রমিক নেতা ও মালিক সমিতি পেয়ে থাকে। চৌমুহনী হতে একটি গাড়ি ছেড়ে চাঁদপুরে প্রবেশ করতে হলে ৫ জায়গায় বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন হারে চাঁদা দিতে হয়। গাড়ি প্রতি চাঁদার হার হচ্ছে চৌমুহনী ১৫০ টাকা, লক্ষ্মীপুর ১৫০ টাকা, রায়পুর ৬০ টাকা, ফরিদগঞ্জ ৬০ টাকা, চাঁদপুর ১৭০ টাকা করে প্রতিদিন দিয়ে থাকে। আর এ টাকা শ্রমিক নেতা, মালিক সমিতি মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। কিন্তু এসব চাঁদার টাকা গুনতে গিয়ে যাত্রীদেরকে বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনন্দ গাড়ি চালক জানান, অধিকাংশ গাড়ির কাগজপত্রে ত্রুটি আছে। রুট পারমিট নেই। সবাই যে নিয়মে টাকা দেয় আমার গাড়ির মালিকও সেই নিয়মে টাকা দিয়ে থাকে। আগে গাড়িগুলোর অনুমতি না থাকলেও এখন চাঁদপুর আসার অনুমতি আছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি বলেন, আগে এদের অনুমোদন ছিলো না। এখন কাগজপএ ঠিক করেছি।