মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

বলাৎকার : মাদ্রাসার বদনাম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বলাৎকার : মাদ্রাসার বদনাম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন
অনলাইন ডেস্ক

শিশু শিক্ষার্থী বলাৎকারের ঘটনা প্রায়শই বিভিন্ন আবাসিক ব্যবস্থা সম্বলিত মাদ্রাসায় সংঘটিত হয় বলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়। ক’টি ঘটনার কথা উল্লেখ করবো? অতি সম্প্রতি চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত ‘ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে বলাৎকার ॥ শিক্ষক আটক’ শিরোনামের সংবাদটিতে লিখা হয়েছে,

ফরিদগঞ্জে একটি হাফেজি মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আবু সুফিয়ান (২৫)কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুয়াটোবা ছাহেরা আলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার। এ ব্যাপারে ঘটনার শিকার এক শিক্ষার্থীর পিতা থানায় মামলা দায়ের করেন।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গুয়াটোবা ছাহেরা আলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আবু সুফিয়ান গত ক’দিন ধরে মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থী (১০)কে বলৎকার করে আসছিলো। এদের মধ্যে একজন ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার বাড়িতে যায় এবং সে মাদ্রাসায় ফিরতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে অভিভাবকদের কাছে এক পর্যায়ে সে বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ করে। এমতাবস্থায় বিক্ষুব্ধ লোকজন ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষককে তার শয়ন কক্ষে আটক রেখে পুলিশে সংবাদ দেয়। রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে এক শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আবু সুফিয়ান ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন, একই মাদ্রাসার অপর শিক্ষকের সাথে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বাড়ি শাহারাস্তি উপজেলার টামটা ইউনিয়নে আলীপুর গ্রামে। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ৪ অক্টোবর বুধবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে যেগুলো কোরআনে হাফেজ বানানোর কাজে নিয়োজিত কিংবা এতিমখানা/লিল্লাহ বোর্ডিং সম্বলিত, সে মাদ্রাসাগুলোতে বলাৎকারের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি ঘটে থাকে। বিবাহিত/অবিবাহিত শিক্ষকরা রাত্রিযাপনসহ এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বক্ষণিক থাকে।এমতাবস্থায় শিক্ষকদের মধ্যে যারা জৈবিক তাড়নায় অতিরিক্ত ভোগেন, তারাই শিশু শিক্ষার্থীদের কাউকে না কাউকে টার্গেট করে বলাৎকার করেন। এমনটি রোধে এমন সব মাদ্রাসায় এমন শিক্ষকদের তদারকির দায়িত্ব দেয়া হোক, যারা অবশ্যই হবে বিবাহিত এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে বসবাসকারী। এমন কিছু কিংবা কার্যকর/ বাস্তবসম্মত অন্য কিছু করার কথা মাদ্রাসাগুলো পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিতরা না ভাবলে বলাৎকারপ্রবণ গুটিকয়েক শিক্ষকের জন্যে উল্লেখিত মাদ্রাসাগুলোর বদনাম রোধ কতোটুকু সম্ভব হবে সেটা আমরা জানি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়