শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

কক্সবাজারে লেখকদের আনন্দভ্রমণ

মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া
কক্সবাজারে লেখকদের আনন্দভ্রমণ

(গত সংখ্যার পর)

২৯ সেপ্টেম্বর মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ। বৈরী আবহাওয়ার সতর্কীকরণে এই যাত্রায় অনেকে বেঁকে বসলেন। যদিও আবহাওয়া সংকেতটি বিপৎসীমার নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা কজন অবিচল। আমি, ম. নূরে আলম পাটোয়ারী, উজ্জ্বল হোসাইন ও তার সহধর্মিণী নাসরিন উজ্জ্বল তাদের দুই সন্তান এবং আব্দুল্লাহ হিল কাফীর সহধর্মিণী সুলতানা আক্তার, কন্যা তাশফিয়া কাফী, স্বজন হেলেনা আক্তার ও বাচেত খিলজী স্পিডবোটে মহেশখালীর পথে। নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের ঘেরা সাগরের জলরাশির ঢেউয়ের দোলে দোলে আমরা আনন্দে উত্তাল। ড্রাইভারের সুনিপুণ দক্ষতায় ‘দুল দুল দুলানী’ খাইয়ে চোখধাঁধানো মনোরম দৃশ্যে উপভোগে মাত্র পনের মিনিটের মধ্যে দ্বীপে পৌঁছাই। পৌঁছামাত্রই মুহাম্মদ ফরিদ হাসান মোবাইলে জানায় অন্যেদের আসা সম্ভবপর হচ্ছে না। স্পিডবোট ছাড়ছে না। পরে জানা গেল স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফিস ওয়ার্ল্ডে চলে যায়। নাছোরবান্দা নূরুল ইসলাম ফরহাদ ও কাজী সাইফ ট্রলারযোগে মহেশখালী পৌঁছান। সত্যিই দেখার মত উপভোগ করার মত প্রাকৃতিক দৃশ্য। একবুক জলরাশি ঘেরা বৃক্ষের সমারোহ। ওপারে পৌঁছে ভ্রাম্যমাণ দোকানে খিলি পানে জলন্ত আগুনের লেলিহান দেখে চমকে যাই। উৎসুক পর্যটকরা হাসিমুখে পান চিবুচ্ছে। মনের অজান্তে জনপ্রিয় গানের সুর আপনা আপনি মুখে চলে আসবে- ‘যদি সুন্দর একটা বউ পাইতাম মহেশখালির পানের খিলি তারে খাওয়াইতাম’। ভ্রমণসঙ্গী উজ্জ্বল হোসাইন সুন্দর মুখ ও মনের সহধর্মিণীকে ‘আগুন পান’ খাইয়ে গানের গীতিকারের লেখনী সার্থক করেছেন। আমারও আগুন পান খাওয়ার লোভ জন্মায়। পেটের পীড়ার ভয়ে লোভ সংবরণ করতে হলো। আগুন পান ছাড়াও হরেক রকম স্বাদের মুখরোচক পানের খ্যাতি ছড়িয়ে আছে মহেশখালীর। আব্দুল্লাহ হিল কাফীর পরিবারবর্গ মহেশখালীর পান চিবুতে চিবুতে স্বহাস্যে মহানন্দে হাঁটছে। রিজার্ভে অটো ভাড়া নিয়ে সোজা চলে গেলাম জিরো পয়েন্টে। ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে নয়নাভিরাম সাগর ও আকাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ভ্রমণপিপাসুদের

মনে দোলা দিবে অনায়াসে। হারিয়ে যাবেন অন্য ভুবনে। সরকারি পর্যটন বিষয়ক অনুষ্ঠান থাকায় ছিল বাড়তি সাজ সাজ। আনন্দ অনুভূতিও উপরে যায়। মাথার উপর সাদা নীল রংয়ের আলপনা কালো মেঘের ঘনঘটা। সামনে সাগর। পিছনে বিস্তৃর্ণ অরণ্য। মাঝে শুটিংস্পট খ্যাত দীর্ঘ ব্রিজ। বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে পাহাড় ডাকছে সৌন্দর্যে ঘেরা ‘আদিনাথ মন্দির’ দর্শনে। মন্দিরটি সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৮৫.৩ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। সমতল ভূমি থেকে ৬৯টি সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠতে হয়। আদিনাথের অপর নাম মহেশ। এই মহেশের নামানুসারে দেশের একমাত্র উপকূলীয় পাহাড়ি দ্বীপ ‘মহেশখালী’ নামকরণ হয়। কিশোর বয়সী অটো ড্রাইভার অমায়িক আচরণ করেছে। যা টুরিস্টদের জন্যে দারুণ সহায়ক। পরবর্তী ভ্রমণ স্পট বৌদ্ধ স্বর্ণ মন্দির। ভিতর ঢুকতেই ছাউনিতে বসে থাকারা কর্কশ ভাষায় প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেন। বিশেষ ধর্মীয় আচরণ পালিত হওয়ায় যেতে বারণ। সাধারণের দূরের কথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আসিলেও ঢুকতে পারবেন না! ওদের ওদার্য্যতা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলাম! শারীরিক ভাষায়ও মাধুর্যতার লেসমাত্র ছিল না। হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে, তারাও রুষ্ট হন। যা ধর্মীয় শিষ্টাচারের মধ্যে পরে না। চাঁদপুর কণ্ঠের সিস্টেম ডেভলপার উজ্জল হোসাইন তাদের অথরিটির সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। ওদের আচরণে মিয়ানমারের স্বরূপ ধরা দেয়, যা প্রত্যক্ষ করছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভদ্রমহিলা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে বৌদ্ধদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করেন। ভ্রমণের এই পর্যায়ে এসে, আমাদের মনে অতৃপ্তি বাসা বাধে। কিশোর অটোবাইক চালক বৌদ্ধদের আচরণে মুখ কালো করে থাকে। কারণ আসার পথে স্বর্ণমন্দির ও মহেশখালী সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা আমাদের দিয়ে যাচ্ছিলো। অজ্ঞতা মলিন মুখে আমাদের পরবর্তী ভ্রমণ ‘ঝাউবন’ নিয়ে আসে। সুনসান নীরবতা। মায়াবী প্রাকৃতিক দৃশ্য। পর্যাপ্ত পর্যটকবান্ধব যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় এখানে দর্শনার্থীদের আনাগোনা একেবারেই হাতেগোনা। দারুণ উপভোগ্য সময় কাটিয়েছি। ঘড়ির কাটায় হিসেব কষে চলতে হয়।

এবার শুটকি বাজারে আমরা। উজ্জ্বল হোসাইনের দরদামে সাশ্রয়ী মূল্যে সবাই শুঁটকি ক্রয় করি। বৌদ্ধ মন্দিরের দায়িত্বশীলগণ সৌজন্যমূলক আচরণ করলে ভ্রমণ পূর্ণতায় তৃপ্তিদায়ক হতো। মহেশখালীর মহাআনন্দের সওদা করে একেবারে চলে এলাম স্পিডবোট টার্মিনালে। টার্মিনাল এলাকায় এসে দেখি ভিন্ন চিত্র। যাওয়ার সময় অবলোকন করা বুকভরা পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা সারিবদ্ধ গাছেরা জল ছায়াবিহীন, এখন পানিশূন্য অবস্থায় দণ্ডায়মান। হা করে গিলে খেলো পানি। প্রকৃতির অপরূপ লীলাখেলা। জোয়ার-ভাটা নিয়ে আসে নিজ নিজ সৌন্দর্য স্বকীয়তা। মহেশখালীকে শুভ বিদায় জানিয়ে স্পিডবোটে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।

সাগর শান্ত। আকাশ সাদা। আনন্দে অভিভূত ভ্রমণের আমেজে স্পিডবোটে আমরা। প্রায় ৫/৭ মিনিট পর হঠাৎ বৃষ্টিবর্ষণ। সাগরের মাঝপথে। উত্তাল ঢেউ। সবাই আতঙ্কিত। টাকা মোবাইল পলিথিনে মুড়িয়ে যে যার মত রক্ষা করি। চালকের দৃঢ়তা দেখে বুঝতে সক্ষম হই বাতাস নিয়ন্ত্রিত। বিপদের মুখোমুখি হবো না ইনশাআল্লাহ। বাতাসের তোড়ে বৃষ্টির ফোঁটায় মনে হচ্ছে গুঁড়ি পাথর নিক্ষেপ করছে। এর মাঝেই ভয় কাটিয়ে সবাই বৃষ্টি ভেজা উপভোগ করি। মহেশখালী টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় মনে মনে শংকিত ছিলাম উজ্জ্বল হোসাইনের ছেলে নওশাদ হোসাইন নিহাল (১০) নওশাবা মেহরিন নাফিশা (৫) ছোট্ট সোনামণিদের জন্যে। ওদের মানসিক মনোবলে নির্ভার হয়ে গেলাম। আমি জীবনের প্রথম সাগরে। সাথে ঝড়ো বৃষ্টি। বৃষ্টি থেমে যায়। আমরা উৎফুল্ল। বৃষ্টিতে ভিজে 'নের সাগর যবুথবু। যাওয়ার সময়ের প্রকৃতি আর আসার সময় ভাটার প্রকৃতি সাগরের ভিন্নতা পরখ করার মত। মানুষ পরিবেশ পরিস্থিতিতে যেমন বদলায়। বদলায় মানুষের মন। সাগরের প্রকৃতিও বদলিয়ে দেখিয়ে দেয় জলরাশির বৈচিত্র্যতা। সে খেলায় আমরা মানুষ কেউ কেউ মেতে উঠি। কেউ হারিয়ে যাই। হালকা রিমঝিম বৃষ্টিতে নিরাপদে কক্সবাজার কুলে উঠে পড়লাম।

ঝড়ো বাতাসের কারণে অন্যেরা টেনশন ফিল করেছেন আমাদের জন্য। দায়িত্বশীলতায় মুহাম্মদ ফরিদ হাসান মোবাইলে টেক কেয়ার করেছেন। সাগর ভ্রমণে টুরিস্টদের নিরাপত্তায় অধিকতর মনোযোগী হওয়া আবশ্যক স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর। আমাদের স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। সাধারণ বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্রিফলের ব্যবস্থা ছিল না। জীবনের মায়ায় আবহাওয়া সতর্কীকরণ বার্তা জেনেশুনে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। হোটেলে এসে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া। প্রশান্তির ঘুম।

সন্ধ্যাবেলা। ফুরফুরে চাঙা দেহ মনে বের হলাম। সমুদ্র সৈকতের প্রথম নান্দনিক স্পট লাবণী বিচ। পর্যটন দিবস উপলক্ষে চারপাশ সাজসাজ। পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য দৃষ্টিনন্দন ফটো স্টেশন । যেন হলুদসন্ধ্যা আয়োজন। আমরাও লুফে নিলাম। লাবণীর প্রেমে (লাবণী বিচ) আমি, ফরিদ হাসান, নূরুল ইসলাম ফরহাদ, জাহিদ নয়ন চতুর্মুখী আনন্দে উল্লসিত হয়ে ‘ফরিদ হাসানের হলুদসন্ধ্যা’ ক্যাপশন লিখে গ্রুপ মেসেঞ্জারে সেন্ড করি। সাথে সাথে হৈ-হুল্লোড় পড়ে যায়। প্রধান সামুদ্রিক মৎস্যবন্দর খ্যাত উপকূলে সমুদ্র মাছের বিশাল পসরা সাজিয়ে বসে আছে স্থানীয়রা। টাটকা খাবারের ভোজন বিলাসিতা দেখে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র প্রবাদ বচন ফুটে উঠে। বালুকাময় পরিভ্রমণে ‘সুগন্ধা বিচে’ আমরা। সন্ধ্যা আকাশে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের মাথার উপর চাঁদ। মনে হচ্ছে ওখানে উঠলেই ধরা যেত! চোখের পলকে পলকে চাঁদের প্রসারতা। হালকা মেঘের আবরণ কাটিয়ে আলো ছড়িয়ে মুগ্ধ করছে। চাঁদমামাকে ক্যামেরায় জড়িয়ে কাছে টানার আকুলতায় আমারা বিমোহিত। পায়চারি করতে করতে রাতের খাবারের জন্য চলে আসি হোটেলে।

খাবার খেয়ে খোশগল্প ও হালকা বিশ্রামের পর ‘সমুদ্রে পূর্ণিমা যাপনে’ বেরিয়ে পড়লাম ‘সুখি পরিবার’। সমুদ্র সৈকত ক্ষণে ক্ষণে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। দিবারাত্রি ঝড়-বৃষ্টি চাঁদণ্ডসূর্য আবহাওয়া অনুকূলে-প্রতিকূলে প্রতিটি সময় উপভোগ্য। জল ও জোছনার অপূর্ব আলোক বিকিরণে সমুদ্র ঢেউের নৃত্য অনিন্দ্য সৌন্দর্য্য জলরাশির হাসিতে মত্ত হয়ে যাই। রাত প্রায় একটায় চলে আসি হোটেলে। অপেক্ষমান হোটেলের সামনে ফরিদ হাসানের মিষ্টি ঠোঁটের প্রেমে পড়ে ফিরতি যাওয়া হলো। পুনরায় দেখে সাগরকন্যা গভীর রাতের সৌন্দর্যের স্বরূপ প্রকাশ করতে লাগলো। ঢেউয়ের পর ঢেউ, মুক্তঝরা হাসিতে প্রশান্তি আর প্রশান্তি। রাত যত গভীর হচ্ছে সাগরের ঢেউ পালা করে মৃদু হাসি, মুখ টিপে হাসি, অট্ট হাসি, চাপা হাসি, বোকা হাসি, মূর্খ হাসি, শব্দ করে হাসি, দাঁত বের করে হাসি, ফিক ফিক করে হাসি দিয়ে ভুলিয়ে রাখে রাতের নির্জনতা। হাসির ন্যায় কান্নার রোদনও শোনা যায় নিপীড়িত, ক্ষুধাত্ত, মজলুমের অশ্রুঝরা ঢেউয়ের করুণ আর্জিতে। মনে হবে লিওনার্দো দ্যা ভেন্সির মোনালিসা ভেসে বেড়ায় সঙ্গী হয়ে। পূর্ণ পূর্ণিমা চাঁদরাত ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আলোকরশ্মিতে নির্ঝর মনে যে যার মত যাপন করছে। এই আনন্দ অভিব্যক্তি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সাগরকন্যা ও চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্যের গোলকধাঁধাঁয় চুম্বকের ন্যায় আটকে রাখে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় কক্সবাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পর্যটন কর্তৃপক্ষের। সমবেত গান হৈ-হুল্লোড় দুষ্টুমিতে পরিশ্রান্ত না হলেও আগামী দিনের আনন্দ উদযাপনে হোটেলে যাওয়ার তাড়া অনুভব করলাম। ঘড়ির কাটা তিনটা গড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ায় সবাই হোটলে গমন অতঃপর ঘুমের রাজ্যে।

(চলবে)

মোখলেছুর রহমান ভূঁইয়া : আশিকাটি, বাবুরহাট, চাঁদপুর। জন্ম ১৯৭৭ সাল। পড়ালেখা চাঁদপুর সরকারি কলেজ; রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক। সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ চাঁদপুর সাহিত্য মেলা-২০২৩ ও চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠক ফোরাম আয়োজিত ফিচার প্রতিযোগিতার পুরস্কার লাভ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়