প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সঠিক সময়ে ঘুম না আসলে করণীয়
কথায় আছে, ঘুম ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব। আসলেও তাই। ঘুমের মাধ্যমেই মানবমস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। তাই সঠিক ঘুম না পেলে মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়বে। আর মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়া মানে শরীর অকেজো হয়ে পড়া। তবে মানুষ নানা কারণেই সঠিক ঘুম থেকে বঞ্চিত হন। নিচে সঠিক ও স্বাস্থ্যকর ঘুমের কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ঘুমের ১ ঘণ্টা আগে খাবার খান : রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। এরপর ৫-১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এটি খাবার হজমে দারুণ সহায়তা করে। সঙ্গে ক্লান্তিও আসে। ফলে বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুম আসে।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান : ঘুম না আসলেও নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর জন্যে বিছানায় যাওয়া উচিত। তবে মাথায় রাখবেন, ঘুম না আসলে তার জন্যে আলাদাভাবে কোনো চেষ্টা করা যাবে না।
বই পড়ুন : ঘুম না আসলে বই পড়তে শুরু করুন। তবে তা মোটেও মনযোগ দিয়ে নই। দেখবেন বই পড়তে পড়তে একটা সময় চোখ এঁটে আসছে। আর তখনই বই রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন।
মেডিটেশন করুন : এই উপায়টি ঘুমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। মেডিটেশনটি এরকম- চোখ বন্ধ করে বাসার ছাদ বরাবর তাকিয়ে থাকুন এবং চোখের মনি আনুমানিক ১৯ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রাখুন। তারপর বাসার ছাদে একটা বিশাল সাদা রং-এর পর্দা কল্পনা করুন। আর তার মধ্যে হালকা নিল রঙের একটা সংখ্যা কল্পনা করুন, তাহলো ১৯। এরপর তা আসতে আসতে মিলিয়ে যাচ্ছে এবং আবার আসতে আসতে আরেকটা সংখ্যা আসছে, তাহলো ১৮। এইভাবে উল্টো কাউন্ট করতে থাকুন। তবে তা খুব ধীরে ধীরে। এইভাবে কিছুক্ষণ করার পর দেখবেন আপনার ঘুম চলে আসছে।
নিয়মিত গোসল : অফিস থেকে বা বাইরে থেকে এসে গোসল সেরে নিন। এতে সারা দিনের ক্লান্তি এক নিমিষে চলে যাবে। মনটাও ফুরফুরা হয়ে যাবে। ফলে বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুম আসবে।
গরম দুধ খান : পারলে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খান। তা ঘুমানোর জন্যে খুবই উপকারি।
এছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে আরো কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন টিভি দেখা যাবে না, কম্পিউটারে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়া পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেই করে ফেলুন। চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার। শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না।