বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

আমার কিছু কথা

অধ্যাপক ডাঃ মোজাম্মেল হক পাটওয়ারী
আমার কিছু কথা

চাঁদপুর কণ্ঠের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আমার কিছু কথা আছে। আমি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক পাটওয়ারী, পিতা মরহুম আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ সামছল হক পাটওয়ারী। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার ঐতিহ্যবাহী বড় পাটওয়ারী বাড়িতে আমার জন্ম। আমি চাঁদপুর জেলা সদরে অবস্থিত আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং বর্তমানে ইসলামিয়া হোমিও হল, সখিনা প্লাজা, হাসান আলী হাইস্কুলের সামনে অবস্থিত চেম্বারে নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে আসছি।

১৯৯৭ সালের শেষদিকের কথা। তখন সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’। অফিস ছিলো রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের পশ্চিম অংশের মধ্য গলিতে। একদিন আকস্মিকভাবে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক বন্ধুবর কাজী শাহাদাতের সাথে দেখা। পরিচয় পর্বের এক পর্যায়ে ছাত্রজীবনের স্মৃতির অ্যালবামে হারিয়ে যাই আমরা। দুজনেই চাঁদপুর কলেজে একসাথে এইচএসসিতে একই বর্ষের ভিন্ন গ্রুপের শিক্ষার্থী ছিলাম। তখন বলাখাল থেকে ট্রেনে করে চাঁদপুর কলেজের ক্লাসে আসার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমার চেম্বার হকার্স মার্কেটে ডাঃ জমির আহমেদ সাহেবের পাশের রুমে। সপ্তাহে দুদিন এ চেম্বারে রোগী দেখতাম। আমার মেইন চেম্বার তখন মতলব বাজারে। পরিবার নিয়ে মতলবেই থাকতে হতো। সেই সুবাদে পত্রিকা অফিসে সুযোগ পেলেই এসে দুই বন্ধুর কথা হতো, পত্রিকা পড়া হতো।

কাজী শাহাদাতের প্রণোদনায় পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পাই। প্রথমেই ‘ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি’ হিসেবে ‘সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠে’ কাজ শুরু করি। পত্রিকাটি ‘দৈনিক’ হিসেবে প্রকাশের পর থেকে চাঁদপুরে ‘হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফ্যামিলি নিয়ে চাঁদপুরে চলে আসি। এই কলেজ প্রতিষ্ঠায় চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের নিরাপস ভূমিকা কক্ষণো ভোলার নয়।

পত্রিকায় সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি কলাম লেখা শুরু করি। তখন থেকে পত্রিকায় ‘বিশেষ প্রতিনিধি’ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আজও প্রায় ২৬-২৭ বছর ধরে আছি। এ সময়ের মধ্যে অনেকেই চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করার সুযোগ পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমি আজও চাঁদপুর কণ্ঠের সাথেই আছি। থাকবো ইনশাআল্লাহ। যদিও সংবাদ সংগ্রহ ও পত্রিকায় লেখালেখি পূর্বের মতো আর হয়ে উঠছে না।

আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার ও কাজী শাহাদাত ৩০ বছর যাবৎ পত্রিকাটির প্রকাশনা নিরবচ্ছিন্ন রাখায় তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তা তাঁদেরসহ পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুন।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, আদর্শ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়