হাজীগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

হাজীগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর

উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের মুন্সী বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চরম অনিয়ম, জুলুম ও হয়রানির অভিযোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মুন্সী বাড়ির মো. ইমাম হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন এবং মো. তোফাজ্জল হোসেন একত্রিত হয়ে তাদের বড়োভাই মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ ও নানা অপকর্মের অভিযোগ করেন। পৈত্রিক, হেবা ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির সুষ্ঠু ভাগাভাগি না করে বড়োভাই আনোয়ার হোসেন একতরফাভাবে সেই জমি নিজের সন্তানের নামে দান করে দেন, যার ফলে তারা সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হন। বিভিন্ন সালিসেও কোনো সমাধান না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে প্রশাসন ও গণমাধ্যমের সহায়তা চাচ্ছেন।

তারা আরো বলেন, আমাদের সম্পত্তি নিয়ে বিচার চেয়েও বিচার পাচ্ছি না, বরং উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা ও হুমকির মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমরা সুবিচার চাই। আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে সেনা সদস্য ইলিয়াস হোসেন সাদ্দাম স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং একের পর এক জুলুম করে চলেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ওই এলাকার ওসমান গণি বলেন, আমি দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু আনোয়ার ও তার ছেলে আমাকে সেই জমিতে যেতে দিচ্ছে না।

স্থানীয় মানিক নামের আরেকজন বলেন, আমি নূর বানুর কাছ থেকে ১.৫০ শতাংশ জমি কিনে ভোগদখল করতে পারছি না। সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, আনোয়ার হোসেন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষ এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদেরও জিম্মি করে রেখেছেন। মামলা, হামলা ও ভয়ভীতি তার প্রধান অস্ত্র। এছাড়া আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আরাফাত হোসেন, মেহেদী হাসান ও আরমানও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের মো. ইসমাইল হোসেন, মো. ওসমান গনি, মো. মানিক হোসেন, মো. তাজুল ইসলাম, শামসুন্নাহার, তাসলিমা বেগমসহ স্থানীয়, জাতীয় প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।