রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়াকণ্ঠের সাথে আলাপচারিতায় ‘এ’ লেভেলের কোচ পলাশ কুমার সোম

আমার কোচিংয়ের মাধ্যমে যেনো জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
আমার কোচিংয়ের মাধ্যমে যেনো জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়

বাবা ও পরিবারের সকল সদস্যেরই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহটা ছিলো বেশি। বাবা জীবিত থাকাবস্থায়ই ছেলেকে ভর্তি করিয়েছিলেন ক্রিকেট অনুশীলনে। তখন চাঁদপুর স্টেডিয়ামে কিংবা আউটার স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা না থাকলেও চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমির কোচ শামিম ফারুকী ও নজরুল ইসলাম সবেমাত্র শুরু করেছিলেন চাঁদপুর জেলা শহর থেকে ক্রিকেটার তৈরি করার জন্যে ক্রিকেট একাডেমী। একাডেমীটি পরবর্তীতে ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী নামে পরিচিতি পায়। আর সেই একাডেমির শুরুর দিকের ছাত্র হিসেবেই যোগ দিয়েছিলেন। একাডেমীর হয়ে এবং জেলা ক্রিকেট দল ও বিভাগীয় ক্রিকেট দলে ভালো করার কারণে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের ১৮ জন ক্রিকেটারের একজন হিসেবে। যে একাডেমী থেকে ক্রিকেটের হাতে খড়ি সেই একাডেমীতেই ক্রিকেট কোচ হিসেবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি হলেন চাঁদপুর জেলা ও উপজেলার উঠতি বয়সী ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের এবং ক্রীড়া সংগঠকদের কাছে পরিচিত একটি নাম- ক্রিকেটার ও কোচ পলাশ কুমার সোম। তার বাবার নাম স্বর্গীয় মানিক চন্দ্র সোম ও মায়ের নাম জ্যোৎস্না রাণী সোম। ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। বড়োভাই আশীষ কুমার সোম একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে শহরের পরিচিত মুখ। তারা বসবাস করেন চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোড এলাকায়।

পলাশ ক্রিকেট খেলা শুরু করেন প্রাইমারী পড়াবস্থায়। তার পড়ালেখা শুরু হয় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে হাইস্কুলে ভর্তি হন চাঁদপুর গণি মডেল হাই স্কুলে। ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র হিসেবে বিদ্যালয়ের ক্রিকেট দল নিয়ে তার কোচিংয়ে ও নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ইয়াং টাইগার্স প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটে সারা বাংলাদেশের মধ্যে গণি মডেল হাই স্কুল জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। একজন ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক হিসেবে জেলার বিভিন্ন ক্লাবসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। তিনি খেলেছেন অলক কাপালি, মাজহারুল ইসলাম রানা, সাব্বির, নোমান, মমিনুল ও তাইজুল ইসলামের সাথে। জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলে ডাক পেয়ে বেশ কিছুদিন জাতীয় ক্রিকেট কোচের মাধ্যমে অনুশীলন করার পর সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে আবুধাবিতে ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে যাওয়ার। দলের কোচদের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চাঁদপুরে পাসপোর্ট নিতে আসেন। পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ার পরই ক্রিকেট বোর্ড তাকে জানায়, তার জায়গায় একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে নেয়া হয়েছে। কী কারণে বাদ পড়েছেন সেটা জানতে চাইলে এই ক্রিকেটারকে তারা কিছুই জানাননি। তারপর ক্রিকেটকে ভালোবেসে মাঠে রয়ে গেছেন ক্রিকেটারদের সাথে। ওই সময় থেকেই স্বপ্ন ছিলো খেলাধুলার পাশাপাশি একজন ভালো মানের ক্রিকেট কোচ হওয়ার, যাতে করে যে সমস্ত ক্রিকেটার স্বপ্ন নিয়ে ক্রিকেটের যাত্রা করেন তাদের সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয়। জেলা ক্রিকেট দলের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দল সহ ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমীর ছাত্রদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত রয়েছেন পলাশ কুমার সোম। গত ক’দিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আওতায় ঢাকা মিরপুর স্টেডিয়ামে ৪ দিনব্যাপী এ লেভেল কোচিংয়ের প্রশিক্ষণ নেন। ২৪ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত বিকেএসপির ডেপুটি ডিরেক্টর মাসুদ হাসান, এইচপি কোচ (লেগস্পিন) ওবায়েদুল গনি, মাহবুব আলী জাকি (পেসবোলার)-এইচপি, কামরুল, তাপস, ফিজিও ট্রেইনার মোঃ ইয়াকুব চৌধুরী, বিসিবির ফিজওথেরাপিস্ট মুজাহিদ আলপা সানির সান্নিধ্যে প্রশিক্ষণে অংশ নেন তিনি। প্রশিক্ষণে তিনি সহ সারা বাংলাদেশের ৩০ জন অংশ নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে বিসিবি থেকে ‘এ’ লেভেল কোচিংয়ের সনদ দেয়া হয়। সনদ পাওয়ার পরই তার নতুন স্বপ্ন ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী থেকে তার মাধ্যমেই একাডেমীর সাবেক ছাত্র বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয়, শামিম পাটওয়ারী, বিপিএল ও সিপিএল খেলা সেরা বোলার মেহেদী হাসান রানার মতো ভালো মানের ক্রিকেটার তৈরি করা।

আউটার স্টেডিয়াম মাঠে ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলন চলাকালে ক্রীড়া প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি তার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ খেলাধুলা ও ক্রিকেটার তৈরির স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেন। তার কথাগুলো পাঠকদের জন্যে নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।

ক্রীড়াকণ্ঠ : কেমন আছেন?

পলাশ কুমার সোম : জ্বি, আমি আপনাদের দোয়া, ক্রিকেটারদের ভালোবাসা এবং পরিবার ও সিনিয়র ক্রিকেটারসহ কোচদের অনুপ্রেরণায় ভালো আছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : কোচিংয়ের সাথে জড়িত কবে থেকে?

পলাশ কুমার সোম : জ্বি, আমি আমার প্রথম কোচ ও জেলার ক্রিকেটের কর্ণধার শামিম ফারুকী স্যার সহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুপ্রেরণায় গত ক'বছর ধরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলের কোচিংয়ের সাথে জড়িত রয়েছি। আমি জেলা ও একাডেমী এবং স্কুল ক্রিকেটের কোচ হিসেবে ক্রিকেট দল নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় সহ জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কি এই প্রথম বিসিবির মাধ্যমে কোচিংয়ে অংশ নিলেন?

পলাশ কুমার সোম : হ্যাঁ, ২৫ বছর ধরেই তো ক্রিকেটের সাথে জড়িত রয়েছি। আমি মাঠের মানুষ মাঠে থেকেই খেলোয়াড়দের সেবা এবং গড়ে তোলার জন্যেই কোচিং কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ি। আমি গত মাসে প্রথম বিসিবির মাধ্যমে জাতীয় প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেই। বিসিবির মাধ্যমে একসময় অনূর্ধ্ব ১৭ ও অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলে ডাক পেলেও বর্তমানে সেই বিসিবির মাধ্যমেই ‘এ’ লেভেল কোচের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : কোচিংয়ের আগে ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয় কবে কিভাবে?

পলাশ কুমার সোম : আমার স্বর্গীয় বাবার অনুপ্রেরণাতে আমার ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বাবা খেলাধুলা পছন্দ করতেন। তখন জেলা ও উপজেলাতে কোনো ক্রিকেট একাডেমী ছিলো না। ওই সময় শুনেছি, শামিম ফারুকী ও নজরুল স্যার ক্রিকেট একাডেমী করার জন্যে উদ্যোগ নিয়েছেন। তখন ক্রিকেট অনুশীলন হতো চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে। আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করি। বাবা জানলেন কলেজ মাঠে নতুন একাডেমী খুলবে। আমি একাডেমীর প্রথম দিকের ছাত্র ছিলাম । তখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। আজ আমি ক্রিকেটার ও কোচ হয়েছি। যেটা বাবার স্বপ্ন ছিলো, অথচ বাবা জীবিত থাকাবস্থায় সেটা দেখে যেতো পারলেন না। বাবা ২০০২ সালে আমাদের পরিবারের সকলকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কি জেলা ও বিভাগীয় এবং বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ও খেলেছেন?

পলাশ কুমার সোম : আমি আমার প্রথম কোচ শামিম ফারুকীর অধীনে ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট খেলি। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলা দলের হয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে মূল একাদশের হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন বিভাগের খেলার মাঠে খেলেছি। কোচ শাহি স্যারের মাধ্যমে ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালে তিন বার বিকেএসপিতে জাতীয় বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলের হয়ে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সহ ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি চাঁদপুরের কোন্ কোন্ ক্লাবের হয়ে খেলেছেন?

পলাশ কুমার সোম : আমি ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগে চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর হয়ে খেলেছি। এছাড়া প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে গুয়াখোলা ক্রীড়া চক্র, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, আবাহনী ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, প্রফেসর পাড়া ক্রীড়া চক্র, ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের হয়ে বেশ কয়েক বছর মূল একাদশের হয়ে খেলেছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : সবশেষ কোন্ একাডেমীর হয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে খেলেন, কত রান করেন?

পলাশ কুমার সোম : আমি সবশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ড্যাফোডিল প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর হয়ে খেলি। আমি সেই ম্যাচে ক্রিকেট কোচিংয়ের সাথে ৬৫ বলে ৬১ রানে নটআউট থাকি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : বিসিবি’র মাধ্যমে জাতীয় বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলে কি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন?

পলাশ কুমার সোম : আমি জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে চ্যালেঞ্জ ট্রফি এবং বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। চাঁদপুর এসে পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ার পর কোন্ অজানা কারণে আর খেলতে যেতে পারিনি। আমার জায়গায় অন্যকে নেয়া হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। তখন মনে জিদ উঠে, ক্রিকেট ছেড়ে যাবো না। যতদিন বেঁচে আছি দলের পাইপলাইনে যারা থাকে তাদেরকে নিয়েই কাজ করে যাবো। আমি যেখানে যেতে পারি নি, সেখানে যাতে আমার হাতে গড়া ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পায়। এছাড়া আমি বিসিবির আন্ডারে কুমিল্লায় ইয়াং সোসাইটির হয়ে খেলি। আমি তখন জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটার ছিলাম।

ক্রীড়াকণ্ঠ : দেশের বাইরে কি ক্রিকেট খেলার ডাক পেয়েছিলেন?

পলাশ কুমার সোম : আমি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেট খেলার সময় কোচ তপন স্যারের মাধ্যমে স্কুল ক্রিকেটে ভারতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময় আমার গুটি বসন্ত হওয়ার কারণে আর খেলতে যেতে পারি নি। চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে ৪০০ রান করার কারণে আবুধাবি (দুবাই) দাদা ওয়ারিয়র্সে খেলার ডাক পাই।

ক্রীড়াকণ্ঠ : ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের নিয়ে স্বপ্ন কী?

পলাশ কুমার সোম : আমি ক্রিকেট খেলারত অবস্থায়ই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের সময় দেই। তাদেরকে নিয়ে অনুশীলন শুরু করি। যাতে করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার থেকে চাঁদপুরের ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়। লক্ষ্য ক্রিকেটের সাথে জড়িত থেকে কোচিং করা ও মাঠে থাকা। ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমীর মাধ্যমে বয়সভিত্তিক যাদেরকে নিয়ে কাজ শুরু করেছি তাদেরকে ভালো ভাবে তৈরি করা এবং এখান থেকেই যেনো শামিমণ্ডজয় ও রানাদের মতো ক্রিকেটার গড়ে উঠে, কোচিংয়ের মাধ্যমে যেনো জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায় সেই প্রয়াস চালানো। ইতোমধ্যে আমার হাতে গড়া অনেক ক্রিকেটারই অনূর্ধ্ব ১৭ ও অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় পর্যায়ে সহ ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন। কারণ, আমি সহযোগিতা পাচ্ছি শামিম ফারুকী, নজরুল স্যার সহ অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারের। তাদের কারণেই আমি উৎসাহিত হয়ে কাজ করছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলাধুলা ও কোচিংয়ের ব্যাপারে পরিবারের কি সহযোগিতা রয়েছে?

পলাশ কুমার সোম : আমি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অনূর্ধ্ব ১৪ জেলা দলের দায়িত্ব পাই ২০২১ সালে। সেই বছর বিভাগীয় পর্যায়ের আমাদের দল চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৮ দল নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হই। গণি স্কুলের ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পেয়ে সারাদেশে জাতীয় পর্যায়ে রানার আপ হই। জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিসিবি একাডেমী কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সারা বাংলাদেশে চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমী দ্বিতীয় হয়। এছাড়া আমার জীবনের অধিকাংশ সময়েই কেটেছে ক্রিকেটের সাথে। আমার মা, বড়োভাই, মাসি সাবিত্রী ঘোষ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য আমাকে অনেক সাপোর্ট দেন। আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কি মনে করেন জেলা পর্যায়ে নিয়মিত খেলাধুলা হোক?

পলাশ কুমার সোম : জেলা পর্যায়ে যত বেশি খেলাধুলা হবে তত বেশি খেলোয়াড় তৈরি হবে। খেলাধুলার ব্যাপারে আমাদের মাননীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, বিসিবির পরিচালক রোমান ভাই, ক্রিকেট একাডেমীর সম্পাদক শেখ মোতালেব ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু ভাই চেষ্টা করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলো যদি নিয়মিত লীগ ও টুর্নামেন্টে অংশ নেয়, তাহলে যারা নিয়মিত দুটি একাডেমীতে অনুশীলন করে, তাদেরকে নিয়ে দলগুলো মাঠে খেলতে পারবে এবং তারাও তাদের খেলা ধারাবাহিকভাবে উপহার দিতে পারবে। আমি চাই চাঁদপুর স্টেডিয়ামে নিয়মিতভাবে খেলাধুলার আয়োজন করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়