প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ০০:০০
মেঘ একটি ফার্মেসিতে স্বল্প বেতনে চাকুরি করে। কিছুদিন আগে সে বিয়ে করে। কিন্তু তাদের দাম্পত্যজীবন সুখের হয়নি। কারণ ছিলো সন্দেহ। কিন্তু দুজন দুজনকে সেক্রিফাইজ করে গেলে দাম্পত্যজীবনটা সুখের হতে পারতো। কিন্তু মেঘলার অতিরিক্ত চাহিদার জন্যে সংসারে দিন দিন অশান্তি দেখা দিচ্ছিলো। ওরা ভালোবেসে বিয়ে করছে। প্রেমের বিজয় পলায়নে। ওরা আবার প্রমাণ করছিলো। কিন্তু বিয়ের ছয় মাস না যেতেই ওদের মধ্যে চাহিদা নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
আচমকা মেঘলা একদিন মেঘকে বলেছিলো, আমি চাকুরি করতে চাই। এই অভাবের সংসারে আমি থাকতে পারবো না। তাছাড়া বাসায় একা একা আমার ভালো লাগে না। প্রথমে মেঘ রাজি না হলেও একমাস পর বাধ্য হয়ে অনুমতি দেয়। প্রথম কয়েক মাস শান্তি ফিরে আসলেও পরে আরও অন্ধকার নেমে আসে।
মেঘ আগে থেকেই বারটার আগে ঘরে আসতে পারতো না। যেদিন একটু তাড়াতাড়ি চলে আসতো সেদিনই মেঘলাকে দেখতো কার সাথে যেনো হেসে হেসে মোবাইলে কথা বলতে। অথচ মেঘের সাথে বিয়ের পর থেকে হেসে কথা বলেনি! কখনো কখনো মেঘকে দেখেই ফোন কেটে দিতো। মেঘ লক্ষ করছে আগের মতো ঝগড়াও হয় না! অতিরিক্ত সন্দেহের কারণে খুব দ্রুতই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে মেঘ।
কখনো এ বিষয়ে জানতে যায়নি মেঘ। জানতে চাইলে হয়তো সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতো না। অধিংকাশ সম্পর্কই ভুল বোঝাবুঝির জন্যে নষ্ট হয়। ভেতরের তুষের আগুনেই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় মেঘ।
একসময় সুযোগেবুঝে টিফিন বাটির খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয়। মেঘলা অফিসে যাওয়ার পরপরই গলায় ফাঁস দেয় মেঘ। অন্যদিকে হঠাৎ অফিসের সহকর্মীরা মিলে দুপুরে খাবার আয়োজন করলে বিষ মেশানো খাবার খাওয়া হয়নি মেঘলার।