শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৫, ২৩:৪৮

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৫

চাঁদপুর জেলায় এবার ফলাফল বিপর্যয়।। এসএসসিতে পাসের হার ৫৫.৭৬

এএইচএম আহসান উল্লাহ।।
চাঁদপুর জেলায় এবার ফলাফল বিপর্যয়।। এসএসসিতে পাসের হার   ৫৫.৭৬

২০২৫ সালের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় চাঁদপুর জেলায় ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। বিগত বছরগুলোতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পাসের হারের চেয়ে চাঁদপুর জেলা এগিয়ে থাকলেও এবারই প্রথম দেখা গেলো কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ে চাঁদপুর জেলায় পাসের হার অনেক কম। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার শতকরা ৬৩.৬০ ভাগ। আর চাঁদপুর জেলায় পাসের হার শতকরা ৫৫.৭৬ ভাগ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও অনেক কমেছে। এসএসসিতে এবার চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫ জন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) সারাদেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।

চাঁদপুর জেলার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, কোনো উপজেলায়ই ফলাফল সন্তোষজনক নয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে যে, উপরোক্ত তিন ক্যাটাগরির মাধ্যমিক পরীক্ষায় চাঁদপুর জেলায় মোট পরীক্ষা দিয়েছে ৩২ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৯ হাজার ৭৪২ জন। পাসের হার শতকরা ৬১.০৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩৫ জন। এসএসসিতে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় মোট পরীক্ষা দিয়েছে ২৪ হাজার ৬৪৮ জন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৩ জন। পাসের হার শতকরা ৫৫.৭৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫ জন।

দাখিল পরীক্ষায় জেলার ৮ উপজেলা থেকে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ৫ হাজার ৯৬৭ জন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৩ জন। পাসের হার শতকরা ৭৯.৩১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২ জন। এসএসসি ভোকেশনালে ৮ উপজেলা থেকে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ১ হাজার ৭১৮ জন। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ২৬৬ জন। পাসের হার শতকরা ৭৩.৬৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮ জন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে যে, মতলব উত্তরের একটি মাদ্রাসা থেকে মাত্র ২ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পাসও করেছে ২ জন। এই সংখ্যা দেখে পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, মাধ্যমিক মানের একটা মাদ্রাসায় ১০ বছর শেষে দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষার্থী মাত্র ২ জন! এটা খুবই হতাশার। ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে দাখিল ১০ শ্রেণি পর্যন্ত দশ বছরে কি এই মাদ্রাসা থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীও পরীক্ষার্থী ছিলো না! বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ এই জেলার শিক্ষা বিভাগের সরকারি অভিভাবকদের খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক মহল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়