বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২০

প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আসামী জহিরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম।।
প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আসামী জহিরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আসামী জহিরকে জেল হাজতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ইনসেটে গৃহবধূ কোহিনুর।

শাহরাস্তি উপজেলার প্রবাসী মো. আরিফ হোসেনের স্ত্রী গৃহবধূ কোহিনুর বেগম (৪০)-এর হত্যা মামলায় আসামী মো. জহির হোসেনকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এই রায় দেন। হত্যার শিকার গৃহবধূ কোহিনুর বেগম একই বাড়ির প্রবাসী আরিফ হোসেনের স্ত্রী। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জহির হোসেন উপজেলার ভাটনীখোলা গ্রামের বেপারী বাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আসামী জহির হোসেনকে তার স্ত্রী লাকী বেগম ঋণ করে সৌদি আরব পাঠান। জহির সৌদি আরব এক মাস থেকে দেশে চলে আসে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে লাকী বেগম তার কাছ থেকে তালাক নিয়ে চলে যান। এর কিছুদিন পরে কোহিনুরের বড়ো ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয় জহিরের স্ত্রী লাকী বেগমের। এ বিয়ে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে আসামী জহির ক্ষিপ্ত হয়ে কোহিনুর বেগমের ঘরে প্রবেশ করে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে শাহরাস্তি ও কুমিল্লায় চিকিৎসা দিয়ে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কোহিনুর বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকায় তার ছোট ভাই মো. হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ১৯ এপ্রিল শাহরাস্তি থানায় জহির হোসেনসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামী গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আউয়াল তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম বলেন, মামলাটি দীর্ঘ ৫ বছরের অধিক সময় চলমান অবস্থায় ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামীর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন। আর অভিযোগপত্রে থাকা বাকি আসামীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. হাবিবুর রহমান লিটু।

মামলার বাদী মো. হাবিব উল্লাহ মুঠোফোনে জানান, হত্যার শিকার কোহিনুর বেগম আমার বড়ো ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি এখনো সৌদি প্রবাসী। বিচারক যে রায় দিয়েছেন ওই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে এ বিষয়ে আমরা আপিল করবো।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়