প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৮
সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের গোপন সম্পদের দুই বস্তা নথি উদ্ধার!
সাবেক আইজিপির দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!
দুদকের হাই-প্রোফাইল অভিযান

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা দুই বস্তা নথি উদ্ধার করেছেন, যাতে তাঁর বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য রয়েছে।
|আরো খবর
রহস্যজনকভাবে সরানো হচ্ছিল নথি
দুদক জানায়, শহীদুল হক তাঁর অবৈধ সম্পদের নথিপত্র দুটি বস্তায় ভরে এক নিকটাত্মীয়ের কাছে পাঠান। কিন্তু গোপনীয়তা বজায় রাখতে সেই আত্মীয় নথিপত্রগুলো আরও একজনের কাছে সরিয়ে দেন। গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে দুদক জানতে পারে, এই নথিগুলোতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির তথ্য লুকানো রয়েছে।
নাটকীয় অভিযানে যা উদ্ধার হলো
- বিপুল মূল্যমানের সম্পত্তির দলিল
- বিভিন্ন গোপন চুক্তিপত্র
- পাওয়ার অব অ্যাটর্নি
- সংঘ স্মারকের ছায়ালিপি
- অফার লেটার
- ব্যাংক হিসাব বিবরণী
আগেও বিতর্কের মুখে ছিলেন শহীদুল হক
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছেন শহীদুল হক। বিশেষ করে ২০১৫ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁর নাম উঠে আসে।
দুদকের পরবর্তী পদক্ষেপ
দুদকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "উদ্ধারকৃত নথিগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, শহীদুল হকের অবৈধ সম্পদের পুরো চিত্র সামনে আসবে। প্রয়োজনে তাঁকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।"
এই অভিযানের মাধ্যমে দেশের আলোচিত এই সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন চিত্র উন্মোচিত হলো। এখন দেখার বিষয়, এই তদন্ত কতদূর গড়ায় এবং এর মাধ্যমে আরও কতজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির নাম সামনে আসে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ